ইফতেখারের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মোহামেডানের হোঁচট
Published: 3rd, March 2025 GMT
একপাশে তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, রনি, মাহিদুল, সাইফ উদ্দিন, নাসুম, ইবাদত, তাইজুল ইসলামদের মতো প্রতিষ্ঠিত সব ক্রিকেটার। জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গুছিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
আরেকপাশে জাওয়াদ, আজিজুল হাকিম, ইফতেখার হোসেন, শাকিল হোসেন, মেহেদী হাসান, নিহাদুজ্জামানের মতো তরুণ উঠতি ক্রিকেটার। ঢাকা লিগের নবাগত দল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
আরো পড়ুন:
‘ছাড় দিয়ে’ ঢাকা লিগে ক্রিকেটাররা
‘আমি যদি ওদের বিপক্ষে আউট হলে কী বলবেন ইচ্ছা করে হয়েছি’
শক্তিতে, নামে মোহামেডানকেই এগিয়ে রাখবে যে কেউ। নামে-ভারে তারাই যে ফেভারিট। কিন্তু ২২ গজে নাম দিয়ে যে ক্রিকেট খেলা হয় না তা আরো একবার প্রমাণিত হলো।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর বড় পরাজয় দিয়ে শুরু করলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গুলশান ক্লাবের কাছে রীতিমত হোঁচট খেল তারা। বিকেএসপির-৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৯৮ রান করে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। জবাবে মোহামেডান ৪০.
গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের জয়ের নায়ক পেস অলরাউন্ডার ইফতেখার হোসেন ইফতি। লিগের প্রথম সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১১০ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৮ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। পরবর্তীতে বল হাতে ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ডানহাতি পেসার ছিলেন দলের সেরা বোলার। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।
মোহামেডানের পরাজয়ের দিনে বিবর্ণ ছিল তারকা ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স। তামিম ৪ চারে ২২ বলে ২২ রান করে আউট হন পেসার রায়হানের বলে পুল শটে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে। মুশফিকুর রহিম ১৪ বলে ৭ রান করে বোল্ড হন স্লগ সুইপে ইফতির বলে। মাহমুদউল্লাহ স্পিনার ইলিয়াস সানীর বলে আলগা শটে কাভারে ক্যাচ দেন ১০ রানে। ১৪ বলে ১ চার হাঁকান তিনি। এছাড়া রনি তালুকদার ৯, মাহিদুল ৩১, সাইফ উদ্দিন ৪ ও নাসুম ১২ রান করেন।
দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে কেবল দ্যুতি ছড়িয়েছেন আরিফুল ইসলাম। ৭৯ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৩ রান করেছিলেন। তাতে মোহামেডানের পরাজয়ের ব্যবধান কমে আসে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে সব আলো কেড়ে নেন ইফতেখার। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে লিগের প্রথম সেঞ্চুরি লিখে নেন তার নামে। চারে নেমে ৪৯তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ১৭৬ মিনিট কাটিয়ে দেন। এছাড়া ওপেনার জাওয়াদ আকবর ৮৬ বলে ৭৫ এবং হাবিবুর শেখ মুন্না ৫৩ বলে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে গুলশানের রান তিনশর কাছাকাছি নিয়ে যান।
মোহামেডানের হয়ে পেসার আবু হায়দার রনি ৬৬ রানে নেন ৪ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফ উদ্দিন ও ইবাদত।
লিগের শুরুটা মোহামেডানের একদমই ভালো হলো না। অন্যদিকে তরুণ, উদ্দীপ্ত দল গুলশান নিজেদের সামর্থ্যের দারুণ প্রমাণ দিয়ে অসাধারণ জয় তুলে নিয়েছে। নিশ্চিত করেছে পূর্ণ ২ পয়েন্ট।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইফত খ র র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়’
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে আল-নাসর। তবে মাঠের ফলাফলের চেয়েও এখন আলোচনায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতিক্রিয়া। ম্যাচ শেষে তার ‘বিষণ্ণ ও নাটকীয়’ আচরণ উপহাস হিসেবে দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
বুধবার রাতে জেদ্দার আলিনমা স্টেডিয়ামে জাপানি ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারে সৌদি ক্লাব আল-নাসর। এই পরাজয়ে রোনালদোর দলের সামনে চলতি মৌসুমে আর কোনো ট্রফি জয়ের সুযোগ থাকল না। সেমিফাইনালের ম্যাচটিতে রোনালদো একটি সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করে। প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষককে কাটিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন পর্তুগিজ মহাতারকা। সমর্থকদের মতে, রোনালদোর গোল মিস করাটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
ম্যাচ শেষে হতাশ রোনালদোকে দেখা যায় মাঠের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলতে ও আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গিতে হাত নেড়েছেন। তার এই অদ্ভুত আচরণ নিয়েই এখন সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘রোনালদোর জন্য ‘ফুটবলকে ছেড়ে দাও, তার আগেই যে ফুটবল তোমাকে ছাড়বে’—এই কথাটা একেবারে যথার্থ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এই লোকটা এখন আর মজার না… শুধু অহঙ্কারে ভরা।’
তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মেসির বিশ্বকাপ জয় মানসিকভাবে শেষ করে দিয়েছে রোনালদোকে।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে বলেন, ‘ক্যামেরার জন্য এমন মরিয়া চেষ্টাও এক রকম প্রশংসার দাবি রাখে—যদি না সেটা এত করুণ হতো।’
অনেকে আবার রোনালদোর স্বার্থপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়।’
তবে এত সমালোচনার পরও অবসরের কোনো ইঙ্গিত দেননি রোনালদো। বরং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে দলের প্রতি নিজের গর্বের কথা জানান তিনি। রোনালদো লেখেন, ‘সবসময় স্বপ্ন পূরণ হয় না। তবে আমি গর্বিত আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে। যারা আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সমর্থন আমাদের অনেক কিছু বলে।’
এদিকে ম্যাচ শেষে আল-নাসরের কোচ স্তেফানো পিওলি দলের পারফরম্যান্সে ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৌশলে সমস্যা ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ঝুঁকি নিয়েছিলাম। তবে যে পারফরম্যান্স হয়েছে, তা হতাশাজনক। প্রতিপক্ষ আমাদের চমকে দেয়নি, বরং নিজেদের দুর্বলতাই বড় ধাক্কা দিয়েছে।’
এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে আল-নাসর, আর প্রশ্নটা থেকে গেছে—রোনালদো আসলে কোথায় গিয়ে থামবেন?