কারাবন্দি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার
Published: 3rd, March 2025 GMT
বাগেরহাট কারাগারে বন্দি কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুর কাছ থেকে তিন পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার দুপুরে মেহেদী হাসান বাবুর ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে এ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মেহেদী হাসান বাবুসহ চার কারাবন্দিকে শাস্তি হিসেবে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। অন্য তিনজন হলেন- বাদল শেখ, ইউসুফ শিকদার ও জসিম সরদার।
এদিকে কারা অভ্যন্তরের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, তল্লাশি করে ১০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। তবে জটিলতা এড়াতে তিন পিস ইয়াবা উদ্ধারের বিষয় উল্লেখ করা হচ্ছে। কারা অভ্যন্তরে ইয়াবা প্রবেশের ক্ষেত্রে সিআইডির দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী আনোয়ারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি অনেকের। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে পোস্ট দিয়েছেন। তাতে বলা হচ্ছে, কারা অভ্যন্তরে একশ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে কারাগারের সামনে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে কারাগারের দায়িত্বশীল কেউ কথা বলেননি। এমনকি মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তা রিসিভ করেননি। পরে জেলা প্রশাসককে জানানো হলে আধাঘণ্টা পর জেল সুপার ফোন রিসিভ করেন।
মোবাইল ফোনে জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার বলেন, সন্দেহ হলে দায়িত্বরত কারারক্ষীরা আমাদের জানান। পরে মেহেদী হাসান বাবুর ব্যাগ তল্লাশি করে তিন পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে জেলকোড অনুযায়ী, মেহেদী হাসান বাবুসহ চারজনকে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে।
তবে কারা অভ্যন্তরে কিভাবে ইয়াবা গেল এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার।
এ বিষয়ে কারাগারে সিআইডি (কারা গোয়েন্দা) হিসেবে দায়িত্বে থাকা আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আইজি স্যারের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারব না বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে পটুয়াখালীর লেবুখালীতে পায়রা সেতুর টোল প্লাজা থেকে কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২৮ ডিসেম্বর থেকে কচুয়ার একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক রাজনৈতিক মামলায় তিনি কারাগারে রয়েছেন। অসুস্থতার কারণে খুলনায় চিকিৎসা শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট আদালতে মামলার হাজিরা শেষে বিকেলে কারাগারে নেওয়া হয় মেহেদী হাসান বাবুকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন