বাগেরহাট কারাগারে বন্দি কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুর কাছ থেকে তিন পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার দুপুরে মেহেদী হাসান বাবুর ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে এ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মেহেদী হাসান বাবুসহ চার কারাবন্দিকে শাস্তি হিসেবে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। অন্য তিনজন হলেন- বাদল শেখ, ইউসুফ শিকদার ও জসিম সরদার।

এদিকে কারা অভ্যন্তরের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, তল্লাশি করে ১০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। তবে জটিলতা এড়াতে তিন পিস ইয়াবা উদ্ধারের বিষয় উল্লেখ করা হচ্ছে। কারা অভ্যন্তরে ইয়াবা প্রবেশের ক্ষেত্রে সিআইডির দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী আনোয়ারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি অনেকের। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে পোস্ট দিয়েছেন। তাতে বলা হচ্ছে, কারা অভ্যন্তরে একশ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে কারাগারের সামনে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে কারাগারের দায়িত্বশীল কেউ কথা বলেননি। এমনকি মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তা রিসিভ করেননি। পরে জেলা প্রশাসককে জানানো হলে আধাঘণ্টা পর জেল সুপার ফোন রিসিভ করেন।

মোবাইল ফোনে জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার বলেন, সন্দেহ হলে দায়িত্বরত কারারক্ষীরা আমাদের জানান। পরে মেহেদী হাসান বাবুর ব্যাগ তল্লাশি করে তিন পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে জেলকোড অনুযায়ী, মেহেদী হাসান বাবুসহ চারজনকে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে।

তবে কারা অভ্যন্তরে কিভাবে ইয়াবা গেল এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার।

এ বিষয়ে কারাগারে সিআইডি (কারা গোয়েন্দা) হিসেবে দায়িত্বে থাকা আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আইজি স্যারের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারব না বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে পটুয়াখালীর লেবুখালীতে পায়রা সেতুর টোল প্লাজা থেকে কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২৮ ডিসেম্বর থেকে কচুয়ার একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক রাজনৈতিক মামলায় তিনি কারাগারে রয়েছেন। অসুস্থতার কারণে খুলনায় চিকিৎসা শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট আদালতে মামলার হাজিরা শেষে বিকেলে কারাগারে নেওয়া হয় মেহেদী হাসান বাবুকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তার কারাগারে

দুর্নীতির মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সিনিয়র জেলা ও দায়রা সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, সোমবার এই মামলার ধার্য তারিখে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন অধ্যাপক সাত্তার। শুনানি শেষে বিচারক আবেদনটি নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে এ মামলার অপর দুই আসামি যবিপ্রবির উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন জামিনে রয়েছেন। 

অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপপরিচালক আল-আমিন। তদন্ত শেষে তিনজনকেই অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দেয় সংস্থাটি।
 
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক দুই উপাচার্য আব্দুস সাত্তার, আনোয়ার হোসেনসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের আরও একটি মামলা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ