নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে যেতে পারবে না—এমন মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে নিয়ে সেই প্রস্তুতি চলছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা ইসির হাতে থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জাতীয় নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচন একসঙ্গে করার কথা বলেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিইসি বলেন, কমিশন এখন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজনৈতিক দল অনেক কথা বলবে, কমিশন রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে যেতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘সরকারপ্রধান যেখানে একটা টাইমফ্রেম ঘোষণা করেছেন, হয় ডিসেম্বরে নয়তো ২০২৬ সালের শুরুর দিকে। আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্ট সেবা নিয়ে জটিলতা নিরসনে স্বতন্ত্র একটি কমিশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, গতকাল একটি বৈঠকে ইসির প্রতিনিধি মতামত তুলে ধরেছেন। আরও বৈঠক হবে সেখানেই কথা বলার সুযোগ থাকবে। এনআইডি সেবা কেন ইসির কাছে রাখা দরকার, তা ইসি লিখিতভাবে জানাবে। তিনি বিশ্বাস করেন, তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সরকার তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বলেও তিনি মনে করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড স ম বর র জন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট–এনআইডিও
  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট, এনআইডিও
  • শেখ হাসিনার পরিবারের ১০ সদস্য ভোট দিতে পারবেন না: ইসি সচিব
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক