ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চুয়াডাঙ্গা অভিমুখী পূর্বাশা পরিবহনের যাত্রীবাহী ১টি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১৮টি সোনার বার, নগদ ১০ হাজার ১৯০ টাকা, ২টি মুঠোফোনসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ এলাকায় বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন এ অভিযান পরিচালনা করে।

আটক দুজন হলেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪২) এবং কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের লিটন খান (২৬)।

বিজিবির ভাষ্যমতে, জব্দ করা সোনার বারগুলোর ওজন ২ কেজি ৪১১ গ্রাম এবং জব্দ করা সবগুলো মালামালের মূল্য ২ কোটি ৯৩ লাখ ৭৮ হাজার ২১৩ টাকা। আজ বিকেলে ৬-বিজিবির পরিচালক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজিবি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পূর্বাশা পরিবহনের মাধ্যমে সোনা চোরাচালান হবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলীর নেতৃত্বে বিজিবির অভিযানকারী দল চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সরোজগঞ্জ বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। দলটি ওই গাড়িকে শনাক্তের পর থামিয়ে তল্লাশি চালায়। এ সময় সন্দেহভাজন দুই যাত্রী রফিকুল ইসলাম ও লিটন খানের দেহ তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৮টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার ১৯০ টাকা ও ২টি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।

অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান জানান, মামলাসহ আসামিদের সদর থানায় সোপর্দ করা এবং সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা কোষাগারে জমা দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ