ইফতারের আগে ঢাকায় আলাদা দুই সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু
Published: 4th, March 2025 GMT
রাজধানীর মালিবাগে বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী এবং এলিফ্যান্ট রোডে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইফতারের আগে ঢাকায় এই দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। দুজনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, মালিবাগে বাসের ধাক্কায় নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম পলাশ মোল্লা (৩৬)। তিনি পেশায় মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী। আর এলিফ্যান্ট রোডে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল মান্নান (৬১)। এলিফ্যান্ট রোডে তাঁর একটি টেইলার্স আছে।
মালিবাগে দুর্ঘটনার পর পলাশ মোল্লাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সৈয়দ জুলফিকার জানান, বিকেল পাঁচটার দিকে মালিবাগের চৌধুরীপাড়া এলাকায় ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় পলাশ গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পলাশের ভাতিজা রেজোয়ান মোল্লা বলেন, মতিঝিলে বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে তাঁর চাচা পল্লাশ মোল্লার। তিনি পরিবার নিয়ে দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় থাকেন। মতিঝিলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে তাঁর চাচা দুর্ঘটনার শিকার হন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নড়াইল জেলায়।
এদিকে এলিফ্যান্ট রোডে দুর্ঘটনায় নিহত আবদুল মান্নানকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো.
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, আলাদা দুটি দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দুটি থানাকে জানানো হয়েছে। তাঁরা পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ফ য ন ট র ড দ র ঘটন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।