চলতি মাসেই আলাদাভাবে ফাইনাল পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষা দিতে চান ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের অকৃতকার্য এবং অনিয়মিত প্রায় ১৫০০ মেডিকেল শিক্ষার্থী। এ দাবিতে বুধবার সকালে রাজধানীর বিজয় নগরে বিক্ষোভ করেন তারা। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) সামনে অবস্থান নেন প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী। সাড়ে চারটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভবনের সামনে অবস্থান করেন। এ সময়ে ওই ভবনে কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারেননি।
 
আন্দোলনরতরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ২০১৮-২০১৮ সেশনের ফাইনাল প্রফেশনাল সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা আয়োজনের দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি করছেন তারা। 

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আনন্দ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ফাইনাল পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষা গত বছর নভেম্বরে নেওয়ার কথা ছিল। এখন সেই পরীক্ষা আগামী মে মাসে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএমডিসির। তবে এ মাসে ২০১৯-২০২০ ব্যাচের সঙ্গে আমরা পরীক্ষা নিতে চাচ্ছি। আমরা আলাদা পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলছি, তবে বিএমডিসি নিচ্ছে না। আলাদা পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে এই আন্দোলন।

এই শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের পরের ব্যাচকে আমাদের আগে আনতে চাচ্ছে। আর আমাদের সময় পিছিয়ে দিতে চাচ্ছে। দুই ব্যাচের পরীক্ষা একসঙ্গে নিতে চাচ্ছে যেখানে নিয়ম অনুযায়ী আমরা আলাদা একটা পরীক্ষা পাই। আলাদা পরীক্ষা আমার ন্যায্য দাবি।

দুই ব্যাচের পরীক্ষা একসঙ্গে নিলে কী কী সমস্যা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো আলাদা একটা পরীক্ষা পাই। সেটা একসঙ্গে হবে কেন? আমাদের যদি এখন আরও দুই মাস পিছিয়ে দেয় তাহলে এমডি, এমএস, এফসিপিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারব না। আমরা অলরেডি দেড় বছর পিছিয়ে গেছি, মে মাসে পরীক্ষা নিলে আরও পিছিয়ে যাব। 

বিএমডিসি রেজিস্ট্রার চিকিৎসক লিয়াকত আলী বলেন, গত বছরের নভেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি এমন ১৫০০ মতো শিক্ষার্থী আছে। মে মাসে পরীক্ষার যে সূচি হয়, সেখানেও অনুত্তীর্ণদের অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে। এটাই হলো নিয়ম, এর বাইরে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা চাচ্ছে একটা মধ্যবর্তী পরীক্ষা, কিন্তু এটা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত একটা কাজ। পরীক্ষা কীভাবে নেবে, রুটিন কী হবে সেটা ঠিক করে ডিন অফিস।

বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ফাইনাল পেশাগত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের নভেম্বর মাসে। ওই পরীক্ষায় প্রায় ১৫০০ মতো পরীক্ষার্থী এক বা একাধিক বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হন। পাঠ্যক্রম অনুযায়ী তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষা আগামী মাসে মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে শিক্ষার্থীরা তা এগিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছে।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ স পর ক ষ ব এমড স ১৫০০ ম আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে

আগামী ২৩ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের সভায় বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব উঠছে। সভায় অনুমোদন হলে একসঙ্গে দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাবে বাংলাদেশ। আইএমএফ শুক্রবার কার্যসূচিতে নির্বাহী পর্ষদের সভার এ তারিখ নির্ধারণের তথ্য প্রকাশ করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ পর্ষদের বৈঠকে চলমান ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্ষদ অনুমোদন করলে বাংলাদেশ একসঙ্গে পাবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে।

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা দিতে আইএমএফ ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও শর্ত পরিপালন নিয়ে বিশেষত টাকা–ডলার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া নিয়ে  জটিলতা তৈরি হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত এপ্রিলে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় আসে। তবে সমঝোতা না হওয়ায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এরপর ওয়াশিংটনে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হয়।

সবশেষে গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতা হয় এবং বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং পর্ষদ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৭৬ কোটি ডলার বাড়তি ঋণ চেয়েছে। বাড়তি ঋণ যোগ হলে মোট দাঁড়াবে ৫৪০ কোটি ডলার। বিবৃতিতে বিনিময় হার, রাজস্ব আদায়, ব্যাংক খাতসহ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তদন্ত প্রতিবেদন দিতে এক মাস সময় বাড়ালেন ট্রাইব্যুনাল
  • কেন এবার একসঙ্গে পেকে যাচ্ছে ক্ষিরশাপাতি, আম্রপালি, ল্যাংড়া
  • শরীরের পাঁচ থেকে সাতটি অঙ্গ একসঙ্গে ব্যথা হয় যে কারণে
  • বাবাকে একটি সুন্দর দিন উপহার দিতে যা যা করতে পারেন
  • ফেনীতে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ 
  • আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
  • এবার বাগ্‌দানের কথা নিজেই জানালেন ডুয়া
  • দেশের ক্রিকেট নিয়ে সাকিবের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে মিরাজের
  • নিজের সিনেমা দেখারও টিকিট পাননি জয়া আহসান
  • টিভিতে দেখা যাবে ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’