ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করতে উপদেষ্টা পর্যায়ে অনুমোদন
Published: 5th, March 2025 GMT
দেশের ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা এবং তারপর জাতীয়করণ করার বিষয়ে উপদেষ্টা পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন সদ্য বিদায় নেওয়া শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এখন সেই ফাইল অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে। প্রথম পর্যায়ে সরকারি অনুদান পাওয়া ১ হাজার ৫১৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে চলতি অর্থ বছরেই এই সুবিধার আওতায় আনা হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে অন্য মাদ্রাসাগুলোতে এই সুবিধা দেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত এবং জাতীয়করণের বিষয় ছাড়াও মাদ্রাসার ছাত্রদের উপবৃত্তির আওতায় আনাসহ মাদ্রাসার উন্নয়নে আরও বেশ কিছু বিষয়ে উপদেষ্টা পর্যায়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন ফাইল অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো জাতীয়করণের ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট। গত জানুয়ারি শাহবাগ এলাকায় ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় লাঠিপেটাও করে পুলিশ। এতে এক নারীসহ ছয়জন আহত হন। তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক শাহবাগ এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের কাছে গিয়ে সরকারের আশ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন। তার আগে মন্ত্রণালয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক হয়। তখন মাসুদুল হক প্রথম আলোকে বলেছিলেন, প্রথমে পর্যায়ক্রমে এসব মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হবে, তারপর জাতীয়করণ করা হবে।
আরও পড়ুনবিদায় বেলায় বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সুখবর জানিয়ে গেলেন উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ৩ ঘণ্টা আগেমাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের হিসাবে বর্তমানে কয়েক হাজার (কোডভুক্ত) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা আছে। এ ছাড়াও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাবে আরও কয়েক কয়েক হাজারের মতো মাদ্রাসা আছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ইবত দ য় জ ত য়করণ উপদ ষ ট পর য য় সরক র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রাম আদালত সম্পর্কে সচেতনতা দরকার
বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালতের আইনগত ভিত্তি রয়েছে। গ্রামীণ জনপদে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে গ্রাম আদালত সেবা দিতে পারেন। মামলাভেদে গ্রাম আদালত গঠিত হয়। গ্রাম আদালতে স্বল্প সময়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। খরচ কম বা নেই বললেই চলে। অথচ অনেকেই সেবাটি সম্পর্কে জানেন না। এ জন্য প্রচার–প্রচারণার পাশাপাশি সচেতনতা দরকার। সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।
ল রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আজ বুধবার বক্তারা এ কথাগুলো বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ–৩য় পর্যায় প্রকল্প, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সভায় বক্তারা হলেন, স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে তৃণমূল স্তর হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। ছোট ছোট সমস্যা সমাধানে গ্রাম আদালত বিরোধ নিষ্পত্তির একটা ব্যবস্থা। ১৯৭৬ সাল থেকে আইনের মাধ্যমে গ্রাম আদালত প্রচলিত। ২০০৬ সালে আইন সংশোধন এবং ২০১৬ সালে বিধিমালা প্রণয়নের পর গ্রাম আদালত সক্রিয়করণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সারা দেশের ৬১টি জেলার ৪ হাজার ৪৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চলমান আছে।
বক্তারা বলেন, আবেদনকারী ও প্রতিবাদী পক্ষ থেকে দুজন করে চারজন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ মোট পাঁচজন নিয়ে গ্রাম আদালত প্যানেল গঠিত হয়। নারীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় হলে গ্রাম আদালত গঠনের ক্ষেত্রে নারী সদস্য মনোনয়ন বাধ্যতামূলক। গ্রাম আদালতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় প্রকার বিরোধের নিষ্পত্তি হতে পারে। নিজের কথা নিজে বলা যায়, আইনজীবী লাগে না।
মতবিনিময় সভায় অতিথি, অংশগ্রহণকারী ও আয়োজকেরা