আসছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের স্মৃতিকথা
Published: 6th, March 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শুরুতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অন্যতম সদস্য এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের যুব, ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাঁর জুলাই স্মৃতিকথা নিয়ে বই লিখেছেন। ‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শিরোনামের বইটি প্রকাশ করছে প্রথমা প্রকাশন। তাঁর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বহু জানা-অজানা তথ্য বিশদভাবে পাঠকের সামনে আসবে এই বইয়ের মাধ্যমে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সূচনালগ্ন থেকেই এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একটি স্বৈরাচারী ও এককেন্দ্রিক সরকারের প্রবল নিষ্পেষণের দিনে কোটা আন্দোলনকে যাঁরা সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের দিকে নিয়ে যান, তিনি তাঁদের একজন। দ্রুত পরিবর্তিত এবং অনিশ্চিত সেই সময়ে ঝুঁকি নিয়ে তিনি তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে নানা পরিকল্পনা করেছেন, সেসব বাস্তবায়ন করেছেন এবং জনতাকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনকে সফলতার দিকে নিয়ে গেছেন। ‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ বইটিতে অনিশ্চিত, ঝুঁকিপূর্ণ ও দুঃসাহসী সেই সময়ের ভেতরের বহু অজানা কথা প্রথমবারের মতো উঠে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার জন্ম ১৯৯৯ সালের ১৪ জুলাই, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্ররাজনীতির সূচনা শুরু হয় তাঁর। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শুরু থেকেই তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অন্যতম সদস্য এবং বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের অংশীদার।
‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ বইটির মুদ্রিত মূল্য ৩৫০ টাকা। ২৫% ছাড়ে প্রি–অর্ডার করা যাবে prothoma.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।