জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল যে, সেনাবাহিনী দমনের পথে গেলে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিবিসির হার্ডটকে সম্প্রতি এ কথা বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

সাম্প্রতিক মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং মানবিক সহায়তা নিয়ে এই হার্ডটক গত বুধবার প্রচার করে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস। বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাত-সহিংসতা মানবাধিকারের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে, তা জানাতে তিনি তখন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ছিলেন। সেখান থেকে তিনি বিবিসির সাংবাদিক স্টিফেন স্যাকুরের সঙ্গে আলাপ করেন। শুরুতে উপস্থাপক বিশ্বজুড়ে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। উত্তরে ভলকার তুর্ক জানান, এর ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বারবার সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। বর্তমানে ৫৯টি দেশে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতার পেছনে ভূরাজনৈতিক কারণ দায়ী।
উপস্থাপক গাজা-ইউক্রেন-সুদানের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রাণহানির কথা স্বীকার করে ভলকার তুর্ক বলেন, হতাহতের সংখ্যা যতটা কমিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করে জাতিসংঘ। মুক্ত ও অবাধ গণতন্ত্র না থাকাকে তিনি দায়ী করেন।

উপস্থাপক জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেছে। এর পর নিকারাগুয়া তার অবস্থান পাল্টিয়েছে। বড় দেশ থেকে ছোট দেশগুলোও যে প্রভাবিত হচ্ছে– এটাকে আপনি কীভাবে দেখেন?

এর উত্তরে ভলকার তুর্ক বলেন, ‘আমি আপনাকে বাংলাদেশের উদাহরণ দিতে চাই। আপনি জানেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনার সরকার দমন-পীড়ন চালিয়েছিল। আশার কথা হলো, আমাদের কণ্ঠ তখন সোচ্চার ছিল। আমরা সেনাবিহিনীকে সতর্ক করেছিলাম, যদি তারা জড়িয়ে পড়ে তাহলে আর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী হিসেবে থাকতে পারবে না। ফলে আমরা পরিবর্তনটা দেখতে পেলাম। ড.

মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নিলেন। ফলে স্পটলাইটে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা আমরা এখানে দেখলাম।’
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভলক র ত র ক

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের

তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।

আরো পড়ুন:

বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু

ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।

এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।

এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
 

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ