রোকেয়া সুলতানা, প্রথিতযশা চিত্রশিল্পী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। দেশ-বিদেশের নানা চিত্রপ্রদর্শনীতে তাঁর চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছে। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। সম্প্রতি একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর নিবিষ্ট শিল্পচর্চায় নারী, মাতৃত্ব, প্রকৃতি, জলবায়ু, সংগ্রাম, সম্পর্ক বর্ণাঢ্য হয়ে ধরা দেয়। তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।

 আপনার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সম্পর্কে জানতে চাই? 
১৯৫৮ সালে আমার জন্ম। রাওয়ালপিন্ডি গেলাম। আমার বয়স যখন দুই বছর, তখন বাবার পোস্টিং সূত্রে আমরা অনেক দূরে চলে গেলাম। পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে, ১৯৬০ সালে। ওখানে আমরা অনেকদিন ছিলাম, প্রায় ১০ বছর। সেটা এমন একটা জায়গা ছিল যেখানে একদম গাছপালা ভরা। এমনকি আমাদের বাসার সামনে বড় বড় মাঠ ছিল, যেখানে গলফ খেলতে আসতেন দূতাবাসের লোকেরা। আমি বিদেশিদেরও দেখেছি তখন। বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনীর লোকেরাও খেলতেন। এ জন্যই বড় বড় সবুজ মাঠ। আমি তো প্রকৃতি ভালোবাসি, মানে প্রকৃতি আমার সঙ্গে কথা বলে। এটা আমার সবসময় বলাও হয়ে উঠে না– আমি সবচেয়ে বেশি ইনফ্লুয়েন্সড হয়েছি বা হই প্রকৃতি দ্বারা। প্রকৃতির পরিবর্তনগুলো আমাকেও পরিবর্তন করতে থাকে। কাজেও এটার ছাপ পড়ে আর বাংলাদেশ তো সবুজ শ্যামলী মা, আমার নদীমাতৃক বাংলাদেশ।
 আপনার নামের মধ্যে ‘রোকেয়া’ এবং ‘সুলতানা’– রোকেয়ার চিন্তা বা সৃষ্টিকর্ম। এই নাম কে রেখেছেন? 
বাবা। আমার বাবা কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ছিলেন তখন। এখন সেটা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ কলেজ। সেখান থেকে তিনি তার ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স করেন। তিনি একটা গ্রামে বড় হয়েছেন এবং ম্যাট্রিকে ফার্স্ট ডিভিশন পান এবং আমার ধারণা, স্ট্যান্ড করা লেভেলে তিনি গিয়েছিলেন। কিন্তু শুনতাম, কলেজে পড়াকালীন লেখক শওকত ওসমান তাঁর বন্ধু ছিলেন। ‘সওগাত’সহ আরও কিছু পত্রিকায় লিখতেন। 
শুনেছি, আমার বাবা যখন গ্রামে আসতেন তখন মহিলাদের যে গীতি থাকে প্রচলিত, সেগুলো তিনি সংগ্রহ করতেন। 

আমাদের ছোটবেলায় পশ্চিম পাকিস্তানে কিছু বাঙালি পরিবার খুব শক্তভাবে বাংলা সংস্কৃতি ধরে রেখেছিল। আমরা বাংলা মিডিয়ামে পড়েছি সেখানে। আমার বাবা পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন। আমার সুযোগ হয়েছিল বাবার একটা ডায়েরি পড়ার। ডায়েরির লেখা ছিল এমন– ‘আজ ভাষা দিবস, সবাই শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাবে; কিন্তু আমি আমার চাকরির কারণে যেতে পারছি না।’ খুবই দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে তিনি তা লিখেছিলেন। আমরা ভাইবোনরা যখন কাজ করেছি, সাবজেক্ট বেছে নিয়েছি, আমার বাবা আমাদের অনেক উৎসাহ দিয়েছেন। 
 আপনার শিল্পকর্ম ‘ম্যাডোনা’ সিরিজ ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। এর শুরুটা কীভাবে?
l l এমনিতে কারণটা খুবই সিম্পল, আমরা যদি আর্টের ইতিহাস দেখি তাহলে প্রায় প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী ম্যাডোনা নিয়ে কাজ করেছেন; বিশেষ করে রেনেসাঁর সময়কালে। যখন আমার মেয়ের জন্ম হলো, তখন আমারও মনে হচ্ছিল যে একটা কালজয়ী ম্যাডোনা আমাকে রচনা করতে হবে। আমি যদি আমার শিল্পকলার জীবনকে ভাগ করি ৩০-৩৫ বছর তাহলে আমি চার-পাঁচটা সিরিজের কথা যদি বলি তার মধ্যে ম্যাডোনা সিরিজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত ’৯১-এ আমি আমার লিভিং রুমে পেন্সিল চারকোল ইত্যাদি দিয়ে আঁকিবুঁকি করছিলাম, তখন ম্যাডোনাটা চলে আসে। যে একটা মা তার মেয়ের হাত ধরে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। এই যে রাস্তাটা এটা কি ঢাকার রাস্তা নাকি অন্য কোথাকার রাস্তা সেটা। এখানে আমি একটা মেটাফরিক ট্রিক ইউজ করেছি, এটা আসলে আমার একটা কাজেরই অংশ। আমার পুরো কাজ বলে দিতে ইচ্ছে করে না, যেন দর্শকরাও কিছুটা ভেবে নিতে পারেন। এভাবেই আমার ম্যাডোনা সিরিজের শুরু। 
 ম্যাডোনা সিরিজে নারীর সংগ্রাম এবং নারীর অধিকার ক্ষমতায়নের একটা চিত্র আমরা দেখতে পাই। এ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে আনলেন আপনার শিল্পতে? 
l l ছোটবেলা থেকে নারী হিসেবে একটা পারিপার্শ্বিক ব্যাপার সমাজ আমাকে বুঝিয়েছে। তাই আমার মধ্যে একটা অস্তিত্বের সংকট থেকে লড়াই বহিঃপ্রকাশ হয়েছে, যত বড় হয়েছি সেটি আরও প্রকট হয়েছে। ছোটবেলা থেকে আমাদের মাকে বাসায় কাজ করতে দেখেছি। তাদের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টিও আমি দেখেছি। সেখান থেকে আমার ম্যাডোনার মা আর তখন বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের বিকাশটাও শুরু হয়। তখন থেকে আমি দেখেছি বাংলাদেশের নারীরা অর্থনীতিতে একটা বিশাল ভূমিকা রেখে চলেছেন। গ্রাম থেকে তারা এসে গার্মেন্টসে কাজ করতেন এবং তখন আসলে মানে প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় গার্মেন্টস ছিল– এমন একটা বিকাশ হয়েছিল বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের। তো এগুলো আমরা দেখতাম, নারীরা টিফিনের বাক্স হাতে নিয়ে কাজে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের মতো কনজারভেটিভ একটা রাষ্ট্রে কাজ করছেন, মেসে থাকছেন। তখন আমি মা ও মেয়েকে এক্সপ্রেস করলাম। এটা শুধু একটি মা-মেয়ের গল্পই থাকল না, এটাকে আপনি নারীর স্বাধীনতা বলতে পারেন, তার অর্থনৈতিক মুক্তি বলতে পারেন, তার মনের বিকাশের জায়গাটা বলতে পারেন। তার যে পাওয়া না পাওয়া। এই পাওয়া না পাওয়া বলতে অস্তিত্ব রক্ষার যে মানুষ হিসেবে নিজেকে রক্ষার যে পাওয়া না পাওয়া সেই পর্যায়ে যেন মেয়েটি যেতে পারে তার মায়ের হাত ধরে। যেখানে হ্যাঁ বা না বলার যেন তার রাইট থাকে। আরও একটা বিষয় যেটা হচ্ছে আমি একজন মা এবং সন্তানের জীবনে মায়ের একটা বিরাট ভূমিকা থাকে। তবে মা কিন্তু একজন মানুষও। এই মানুষ বিষয়টা একটা মেয়ে যখন মা হয়, তখন আমরা অনেক সময় ভুলে যাই। এখনও আমার একটা say ছিল যে মা আমি একটা ম্যাজেন্টা রঙের শাড়ি পরিয়েছি, তার গালে আমি একটা স্কার দিয়েছি, একটা আঁচড় দিয়েছি– কারণ আমি এখানে একটা যুদ্ধ দেখাতে চেয়েছি, আমি এখানে স্ট্রাগল দেখাতে চাইনি ও কিন্তু দুঃখ-দুর্দশায় নুয়ে পড়ছে না, মিছমার হয়ে যাচ্ছে না। ও কিন্তু ফাইট করছে। তার মেয়েকে নিয়ে সে আনন্দিত। ও বাসে যাচ্ছে, নৌকায় যাচ্ছে; তবে ও যে একটা মানুষ ও যে কোনো দেবী নয়, তাই আমি ওকে একটা ম্যাজেন্টা রঙের শাড়ি পরিয়েছি। সবসময় এটা আমি মেটাফোরিকালি রাখতাম। 
 এই ম্যাডোনাতে তো আপনাকেও খুঁজে পাওয়া যায়? 
l l আসলে আমরা যে কোনো কাজই করি না কেন, আমাদের সেই কাজে নিজেদের একটা আয়না থাকে, যেখানে আমরা নিজেরা প্রতিফলিত হই। তাই আমার শিল্পকর্ম ম্যাডোনাতে আমি প্রতিফলিত হয়েছি। 
 ২০২৫ সালের নারী দিবস আমরা এমন একটা সময় পার করতে যাচ্ছি, যখন এর আগের বছরই একটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখছি, নারী নির্যাতন তো কমেনি। আগেও চলছিল, এখনও চলছে।
l l আসলে গণঅভ্যুত্থানের যে ভিডিও ক্লিপগুলোতে আমরা যা দেখছিলাম, রাস্তায় তাদের অগ্নিকন্যা বলে সম্বোধন করা হচ্ছে। তারা কিন্তু পুরুষের ঢাল হয়ে এগিয়ে এসেছে। নারীদের বলা হয় মায়ের জাতি। তারা তাদের সন্তানদের রক্ষা করতে সবকিছু করতে পারে। গণঅভ্যুত্থানে এই মেয়েদের মধ্যে রক্ষা করার যে বিষয়টি, সেটি অনেকাংশে ফুটে উঠেছে। তারা খুবই অসাধারণ কাজ করেছে। গণঅভ্যুত্থানে নারীর বীরত্ব, সাহস, ডেডিকেশন ছিল অসামান্য। আমার মনে হয়, এবার সেটির মূল্যায়ন হবে। এবারের নারী দিবসে নারীর যে দেশমাতৃকার প্রতি ভূমিকা, তাঁর যে সাহস– এটাই মুখ্য হয়ে উঠুক।
 নারীর পোশাক নিয়ে সম্প্রতি কটূক্তি শোনা যাচ্ছে.

..
l l সৌন্দর্য একেকজনের কাছে একেকরকম। সংস্কৃতি, সৌন্দর্য দেশ ও কাল ভেদে ভিন্ন হয়। পোশাকও একইরকম। একেকজনের কাছে একেক রকম পোশাক পছন্দ হতে পারে। পোশাকের পছন্দ অবশ্যই নারীর অধিকার। কেউ ভুল বা অন্যায় করেছে মনে করলে তার প্রতিকার চাইতে হবে। আমি কাউকে সঠিক মনে করি না বলে আরেকজনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এমন তো নয়। আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়াটা সমাধান নয়। সরকারের কাজ সরকার করছে। সরকারের যেমন দায়িত্ব আছে, নাগরিকেরও দায়িত্ব রয়েছে। স্বাধীনতা উদযাপন যখন সুন্দর থাকে না, তখন সেটা আর স্বাধীনতা থাকে না। আমার দেশে সেই স্বাধীনতা নারী-পুরুষ সবারই আছে। আবার রাতারাতিই তো সব বদল হবে না। এজন্য সময় লাগবে। সেই অনুযায়ী কাজও করতে হবে।
 অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
l l সমকালকেও ধন্যবাদ। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন আম র ব ব আম দ র জ কর ছ ক জ কর আম র ম ব ষয়ট আপন র র একট

এছাড়াও পড়ুন:

৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

ছাত্র আন্দোলনের ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

সোমবার (১৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা জানায় সংগঠনটি।

সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা দিবস আছে, বিজয় দিবস আছে, কিন্তু আমাদের মুক্তি ঘটেনি। তাই ঐতিকহাসিক ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণা করতে হবে। এ ছাড়াও জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার আগে জনগণের মতামতের জন্য তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।”

আরো পড়ুন:

বেগম রোকেয়া পদকের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান

নিরাপদ খাদ্য দিবস শনিবার: ‘নিরাপদ খাদ্য উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি কমায়’

তিনি বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মৌলিক সংস্কার এবং ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত না করে দেশে যদি নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘গাদ্দার’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এই সনদে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের নিরিখে বৈষম্যবিরোধী ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “সংবিধান থেকে জনবিরোধী ও জুলাই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব ধারা উপধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে সাংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল, মত এবং লিঙ্গের ন্যায্য শরিকানা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে বলা হবে- আমরা বাংলাদেশের জনগণ এই ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান সম্পল্প করেছি।”

সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চ ১৩টি প্রস্তাবনা তুলে ধরে, যা জুলাই সনদের কার্যকর প্রয়োগ ও জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে।

প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করা সব শহীদকে রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ সন্তান ঘোষণা করতে হবে;  যেসব জুলাই যোদ্ধার স্থায়ী অঙ্গহানি হয়েছে, তাদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচন বাতিল করে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এছাড়া ফ্যাসিবাদী আমলের সকল মন্ত্রী, এমপি ও দোষী আমলাসহ রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের বিচারের আওতায় এনে অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ জব্দ করে তা শহীদ ও আহতদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে; দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা রক্ষায় ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে; জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে দেশি-বিদেশি অপশক্তি চিহ্নিত করতে হবে; রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার করতে হবে যাতে ফ্যাসিবাদ আর স্বৈরতান্ত্রিকতা কখনও ফিরে না আসে; ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণা করতে হবে।

বাকি দাবিগুলো হলো- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী কল্যাণ রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে; সংবিধান থেকে জনবিরোধী ও জুলাই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব ধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে সংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল, মত ও লিঙ্গের ন্যায্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; জুলাই সনদের ভাষাগত দুর্ব্যবহার পরিহার করে জনসাধারণের জন্য সহজ ভাষায় উপস্থাপন করতে হবে এবং সনদ চূড়ান্ত করার পূর্বে জনগণের মতামতের জন্য তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

আগামী ২৫ জুনের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করা না হলে রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে ‘লাল মার্চ’ করার ঘোষণাও দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দাবি ইনকিলাব মঞ্চের
  • নাগরিক সমাজ শাসকদের পক্ষে থাকে কেন?
  • আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়