রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শনিবার দুপুর সোয়া ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফ করবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ডিএমপি ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরার বনশ্রী ডি ব্লক ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে  স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। ওই এলাকায় আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার কাছে থাকা প্রায় ২০০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। এ সময় পাশের ভবন থেকে ছিনতাই ও গুলির দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করেন বাসিন্দারা। রাতেই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে ব্যবসায়ী আনোয়ারের কাছ থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি ব্যাগ ছাড়ছেন না। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে একজন তাকে গুলি করেন। পরে ব্যাগ ছিনিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় তারা।
 
গুলিবিদ্ধ আনোয়ারের স্বজনরা জানান, আনোয়ারের ব্যাগে ২০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ এক লাখ টাকা ছিল। তাদের ধারণা দোকান থেকেই তাকে অনুসরণ করেছিল দুর্বৃত্তরা। এরপর বাসার সামনে পৌঁছামাত্র স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
 
রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউল আলম সমকালকে বলেন, গুলিবিদ্ধ আনোয়ারকে প্রথমে বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

আনোয়ারের বন্ধু মজিবুর রহমান সমকালকে জানান, বনশ্রীর সি ব্লকের ৫ নম্বর সড়কে ‘অলংকার জুয়েলার্স’ নামে জুয়েলারির দোকান রয়েছে আনোয়ারের। প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি স্বর্ণের ব্যবসা করছেন। ডি ব্লকের ৭ নম্বর রোডে ২০ নম্বর বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় হেঁটে যাতায়াত করেন। প্রতি রাতের মত রোববার রাতেও দোকানে থাকা ২০০ ভরি স্বর্ণের গহনা ব্যাগে নিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। ভবনের গেটের কাছে যাওয়া মাত্র তিনটি মোটরসাইকেল তাকে ঘিরে ধরে। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে স্বর্ণের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। তাতে নগদ এক লাখ টাকাও ছিল। শরীরে চারটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৬ স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ নত ই স বর ণ উদ ধ র স বর ণ ব যবস বনশ র

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ