ভেজালমুক্ত খাদ্যের দাবি ও সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান
Published: 8th, March 2025 GMT
খাদ্যে রাসায়নিকের ব্যবহার ও ভেজাল খাদ্য বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান করেছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ, রাবি ইউনিট। শুক্রবার (৭ মার্চ) ইফতারের পর হোটেল, ফলের দোকান ও জুসের দোকানসহ বিভিন্ন কাঁচামালের দোকান ঘুরে বিক্রেতাদের সতর্ক এবং ক্রেতাদের সচেতন করেন সংগঠনের সদস্যরা।
প্রচারাভিযানে খাদ্যে ভেজালের ক্ষতিকর দিক ও ভেজালমুক্ত খাবারের জন্য আমাদের করণীয় বিষয়ক আলোচনায় সংগঠনের সভাপতি আবু সাহাদাৎ বাঁধন দোকানিদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৬০ কোটি মানুষ ভেজাল ও দূষিত খাবার গ্রহণের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে অসংক্রামক রোগে প্রাণ হারান ৪ লাখের বেশি মানুষ। তাই জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে আপনাদেরও সচেতন হতে হবে এবং ভেজালমুক্ত খাবার বিক্রির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খালিদ ও তাজিউর রহমান তাজ, কোষাধ্যক্ষ দিপু বিশ্বাস, সুহৃদ সিয়াম, বিপ্লবসহ কর্মসূচিতে যুক্ত হন অন্য শিক্ষার্থীরা।
সংগঠনটির সদস্যরা বলেন, ভেজাল খাদ্য রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দোকানিদেরও উচিত ন্যূনতম লাভে বিশুদ্ধ খাবার বিক্রি করা, যাতে সাধারণ মানুষ সুস্থ থাকতে পারে। ভবিষ্যতে এমন আরও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেষ হয় কর্মসূচির প্রথম পর্ব।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু
ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।
এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী