গবেষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ প্রতি বছর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের নারী শিক্ষকদের ‘বেস্ট উইমেন রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইসমাইল।

তিনি বলেন, “এখন থেকে নোবিপ্রবিতে প্রতি বছর বেস্ট উইমেন রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। গবেষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিভাগের নারী শিক্ষকদের এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।”

আরো পড়ুন:

নোবিপ্রবিতে চাইনিজ ভাষা অগ্রাধিকার পাবে: উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণইফতার আয়োজন করে অভিনব প্রতিবাদ

তিনি আরো বলেন, “আমরা চাই একটি সুন্দর কর্মপরিবেশ যেখানে নারী পুরুষ সবাই যার যার সম্মান নিয়ে কাজ করতে পারবে। সুন্দর পরিবেশ অনেক ক্ষেত্রেই আছে, এর পরিধি আরও বাড়াতে হবে। নারীদের নামাজ আদায়ের জন্য ভবনগুলোতে কক্ষ বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রত্যেক ভবনে অন্তত একটি করে ছাত্রীদের কমন রুম করার চেষ্টা করব।”

উপাচার্য বলেন, “নোবিপ্রবিতে স্কুল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে চেষ্টা চলছে। এটি চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য উপকার হবে। ঘরে বাইরে নারীদের স্বাধীনতা সবসময় সমুন্নত রাখা দরকার। আমাদের প্রশাসনের দিক থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাদের সুরক্ষ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।”

সভায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের এক প্রস্তাবনার জবাবে উপাচার্য বলেন, “আইকিউএসির মাধ্যমে আমরা যদি নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সকলের জন্য ‘দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং স্ট্রেস বিষয়ক’ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারি। তাহলে কর্মপরিবেশটা সুন্দর করা আরো সহজ হবে হয়তো।”

সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ এবং রিসার্চ সেল পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

এতে নোবিপ্রবি বিভিন্ন বিভাগের নারী শিক্ষকবৃন্দ অংশ নেন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব প রব ত উপ চ র য ম হ ম মদ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।

বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’

গণজমায়েতে র‌্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ