চাঁদা না পেয়ে বিএনপির ব্যানার সাঁটিয়ে দোকান দখল
Published: 9th, March 2025 GMT
বরিশালের উজিরপুরে যুবদলের দুই নেতাকে চাঁদা না দেওয়ায় বিএনপির ব্যানার টানিয়ে মুক্তিযোদ্ধার দোকান দখলের অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা যুবদলের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক জালিস মাহমুদ মৃধা ও রুহুল কুদ্দুস হাওলাদারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলী সুজার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মাসুম।
অভিযুক্ত জালিস ও রুহুলের দাবি, উজিরপুর পৌর ও শিকারপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কিছু ব্যক্তি গিয়ে ওই ব্যানার টানিয়েছে। এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।
দোকান মালিক মাসুম জানান, ১৯৫০ সাল থেকে শিকারপুর বন্দরের চান্দিনা ভিটার ৪ শতাংশ জমি বার্ষিক ইজারায় দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা শুরু করেন তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান। ২০১৫ সালে বাবার মৃত্যুর পর তারা তিন ভাই দোকান চালাচ্ছিলেন। ২০১৮ সালে তাদের দোকান দখলে নিয়ে শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কার্যালয় করা হয়। ৫ আগস্টের পর তিনি দোকান বুঝে নেন। যুবদল নেতা জালিস ও রুহুল তাঁর কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এর পর জালিস দোকানঘরটি মৌখিক চুক্তিতে কিছুদিনের জন্য ভাড়া নেন। কিছুদিন পর তাঁকে মালপত্র সরিয়ে নিতে অনুরোধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর ছবি সংবলিত শিকারপুর ইউনিয়ন বিএনপির স্থায়ী কার্যালয় লিখে একটি ব্যানার সাঁটিয়ে দেন। ব্যানার নামাতে বললে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সংবলিত আরেকটি ব্যানার সাঁটিয়ে দেন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হুমায়ুন খান বলেন, দোকানটি সাংবাদিক মাসুমের। এটা আওয়ামী লীগ দখল করেছিল। এখন বিএনপির কিছু নেতা সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দিয়েছে শুনেছি। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু দেশের বাইরে। তিনি ফেরার পর মাসুমকে দোকান বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫