মামুনের গানচিত্র ‘প্রেম বাজারে নকল মানুষ’
Published: 10th, March 2025 GMT
ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী মামুন মন্ডলের গানচিত্র ‘প্রেম বাজারে নকল মানুষ’। গানটির কথা লিখেছেন কবি ও সাংবাদিক বাদশাহ সৈকত। সুর করেছেন ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ তারকা সাজু আহমেদ সরকার। সংগীতায়োজন করেছেন মান্নান মোহাম্মদ।
কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে মিউজিক ভিডিওটির দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে। চিত্রগ্রহণ ও পরিচালনা করেছেন এ এম সি নয়ন খান। অভিনয় করেছেন হিরো মিলন এবং পিও। ‘প্রেম বাজারে নকল মানুষ’ মিউজিক ভিডিওটি দেখা যাচ্ছে বাদশাহ সৈকত ইউটিউব চ্যানেলে।
এ বিষয়ে গীতিকার বাদশাহ সৈকত বলেন, “প্রেম এক স্বাভাবিক মানবিক অনুভূতি। সবাই প্রেমে বাঁচতে চায়। কিন্তু এই অস্থির সময়ে প্রেমের বাজার নকল মানুষে সয়লাব। এই গানে মনস্তাত্ত্বিক টানাপড়েনের ওপর বিশেষ আলোকপাত করা হয়েছে। আশা করছি, গানটি সব বয়সের মানুষের ভালো লাগবে।”
ঢাকা/রফিক/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নকল ম ন ষ কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।