চাঁদা না পেয়ে এলজিইডি প্রকৌশলীর ওপর হামলা, থানায় মামলা
Published: 10th, March 2025 GMT
চাঁদা না পেয়ে সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়ে ঠাকুরগাঁও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলীদের ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার (১০ মার্চ) সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলাটি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কার্যসহকারী রেজওয়ানুল হক। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান বলেন, “মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।”
এর আগে, শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জের রসুলপুর শারালী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম
ফরিদপুরে চাঁদা না পেয়ে গৃহবধূকে মারধর, মামলা
আসামিরা হলেন- সদরের শিবগঞ্জ শারালী এলাকার মৃত আকিম উদ্দিনের ছেলে মো.
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে আইআরআইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় জেলা সদরে রসুলপুর টু শিবগঞ্জ শারালী সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি সড়কের কার্পেটিং কাজ করছিলেন এলজিইডির শ্রমিকরা। এ সময় ওই এলাকার আলম, আবু হোসেন মতিউর ও আরিফসহ নাম না জানা আরো ২০ জন এলজিইডির কার্যসহকারী রেজওয়ানুল হকের পথরোধ করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না পারায় সড়কের কার্পেটিং কাজ বন্ধ করে দেয় তারা। কথাকাটির এক পর্যায়ে চাঁদা দাবি করা ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে রেজওয়ানুল হককে মারধর শুরু করে। এতে রেজওয়ানুল হক গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. ফরহাদ হোসেন সৌরভ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজিবুল হাসান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুস সাকিব আকাশ ও ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলাম এগিয়ে গিয়ে রেজওয়ানুল হককে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। এসময় তাদের ওপরেও হামলা হয়। ওই ঘটনায় এলজিইডির কার্যসহকারী রেজওয়ানুল হক বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস বলেন, “কাজ করতে গিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা যদি মারধরের শিকার হয়, তাহলে আমরা কাজ করব কিভাবে। জীবনের নিরাপত্তা কে দেবে আমাদের? মামলা হলেও এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। আসামিরা গ্রেপ্তার হলে আতঙ্ক কাটবে। কাজে ফিরবে সবাই।”
ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর অভ য গ সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।