চাঁদা না পেয়ে সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়ে ঠাকুরগাঁও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলীদের ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার (১০ মার্চ) সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। 

মামলাটি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কার্যসহকারী রেজওয়ানুল হক। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান বলেন, ‍“মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।” 

এর আগে, শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জের রসুলপুর শারালী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম

ফরিদপুরে চাঁদা না পেয়ে গৃহবধূকে মারধর, মামলা

আসামিরা হলেন- সদরের শিবগঞ্জ শারালী এলাকার মৃত আকিম উদ্দিনের ছেলে মো.

আলম (৫০), জলিলের ছেলে আবু হোসেন (৫০), মৃত আকিম উদ্দিনের ছেলে মতিউর (৩৫) ও মো. আলমের ছেলে মো. আরিফ (২৫)।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে আইআরআইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় জেলা সদরে রসুলপুর টু শিবগঞ্জ শারালী সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি সড়কের কার্পেটিং কাজ করছিলেন এলজিইডির শ্রমিকরা। এ সময় ওই এলাকার আলম, আবু হোসেন মতিউর ও আরিফসহ নাম না জানা আরো ২০ জন এলজিইডির কার্যসহকারী রেজওয়ানুল হকের পথরোধ করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না পারায় সড়কের কার্পেটিং কাজ বন্ধ করে দেয় তারা। কথাকাটির এক পর্যায়ে চাঁদা দাবি করা ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে রেজওয়ানুল হককে মারধর শুরু করে। এতে রেজওয়ানুল হক গুরুতর আহত হন। 

খবর পেয়ে এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. ফরহাদ হোসেন সৌরভ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজিবুল হাসান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুস সাকিব আকাশ ও ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলাম এগিয়ে গিয়ে রেজওয়ানুল হককে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। এসময় তাদের ওপরেও হামলা হয়। ওই ঘটনায় এলজিইডির কার্যসহকারী রেজওয়ানুল হক বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। 

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস বলেন, “কাজ করতে গিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা যদি মারধরের শিকার হয়, তাহলে আমরা কাজ করব কিভাবে। জীবনের নিরাপত্তা কে দেবে আমাদের? মামলা হলেও এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। আসামিরা গ্রেপ্তার হলে আতঙ্ক কাটবে। কাজে ফিরবে সবাই।” 

ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর অভ য গ সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় গাছ থেকে পড়ে খায়রুল ইসলাম (৫৫) নামে এক কাঠ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দুধসর গ্রামে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। খায়রুল একই উপজেলার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের মুকাদ্দেস আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খায়রুল আজ সকালে গাছ কাটার জন্য দুধসর গ্রামের হাজরাতলায় যান। বেলা ১১টার দিকে একটি গাছের ডাল কাটার সময় পা পিছলে তিনি নিচে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক খায়রুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ

আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সংযোগের দাবিতে সমাবেশ

দুধসর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, হাজরাতলায় একটি রেইনট্রি গাছ কাটার সময় খায়রুল নামে এক শ্রমিক গাছ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুত্ব আহত হন। সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান, গাছ থেকে পড়ে এক কাঠ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ