জাতীয় পরিচয়পত্রে একাধিক স্ত্রীর নাম যুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা
Published: 10th, March 2025 GMT
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ডাকনাম ও একাধিক স্ত্রীর নাম যুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।
সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, আবেদনগুলোতে দেখা যাচ্ছে, অনেক ব্যক্তির ‘ডাকনাম’ পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে অনেক ক্ষেত্রে সেটা (সমস্যার) সমাধান করা যাচ্ছে না। এ জন্য কালকে (গতকাল রোববার) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এটা নিয়ে যখন বসেছিল, তখন আলোচনায় প্রাথমিক একটা চিন্তা এরকম হয়েছে যে বাংলাদেশে প্রচুর মানুষ ডাকনাম আলাদাভাবে ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে এনআইডির ২ নম্বর ফরমে ডাকনাম নিয়ে আসা যেতে পারে, যা সম্ভবত অনেক লোককে আইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করতে সহায়তা করবে।
মহাপরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, নির্বাচন কমিশন, সচিবালয় বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করলে একাধিক স্ত্রীর নাম এনআইডির ২ নম্বর ফরমে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
তিনি বলেন, অনেক সময় কোনো কোনো নারী এসে তাঁর নাম স্বামীর এনআইডিতে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। কিন্তু আমরা এটা তো সুয়োমোটো (স্বপ্রণোদিত হয়ে) করতে পারি না। আমরা যদি ২ নম্বর ফরমে, একাধিক স্ত্রী যদি কারও থাকে, যদি সেই নামটা আগেই সংরক্ষণ করে নিই, বা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করি, তাহলে দেখা যাবে যে ভবিষ্যতে হয়ত ওই প্রবলেমটা আর থাকবে না। এ জন্য আমরা ২ নম্বর ফরমে এটা রাখার যায় কিনা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি প্রাথমিকভাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনআইড স ব এক ধ ক স ত র ক ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর—কোথায় বিনিয়োগ করবেন
আপনার হাতে ২-৩ লাখ টাকা জমেছে। এ টাকা কী করবেন, কোথায় জমা রাখবেন, এ নিয়ে চিন্তিত হন। এত টাকা হাতে এলে প্রথমেই সঞ্চয়পত্র কেনার কথা ভাবেন অনেকে। আবার অনেকে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) করার কথাও চিন্তা করেন।
তবে সঞ্চয়পত্র কেনা নাকি এফডিআর করা—কোনটি ভালো হবে, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন অনেক। সঞ্চয়পত্র ও এফডিআর নিয়ে একটি বিশ্লেষণ দেওয়া হলো। বিশ্লেষকেরা বলেন, বিনিয়োগের একটি অংশ সঞ্চয়পত্রে ও অপর অংশ এফডিআরে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে ঝুঁকি কম থাকে।
সঞ্চয়পত্র
মধ্যবিত্তের জন্য সঞ্চয়পত্র বেশি জনপ্রিয়। কারণ, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে ঝামেলা নেই। এত ব্যাংক কেলেঙ্কারির মধ্যেও সঞ্চয়পত্র একটি আস্থার আর্থিক পণ্য হিসেবে সমাজে স্বীকৃত।
সুবিধা কী কী
১. সঞ্চয়পত্রে সরকারি গ্যারান্টি থাকে। তাই টাকা হারানোর ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
২. এফডিআর থেকে তুলনামূলকভাবে সুদের হার বেশি। বর্তমানে সঞ্চয়পত্রে গড়ে সুদের হার ১২ শতাংশের আশপাশেই আছে।
৩. দীর্ঘ মেয়াদে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে।
৪. সাধারণত কর মওকুফ বা কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া। যা আপনার বছর শেষে করের পরিমাণ কমিয়ে দেবে।
৫. বিপদে পড়লে সঞ্চয়পত্র ভেঙে কাজে লাগানো যায়। অনেকে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেও সঞ্চয়পত্র কেনেন।
অসুবিধা কী কী
১. নির্দিষ্ট সীমার বেশি কেনা যায় না। যেমন—পরিবার সঞ্চয়পত্র ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। আবার পেনশনার সঞ্চয়পত্র ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কিনতে পারবেন।
২. মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে ভাঙালে মুনাফার পরিমাণ কমে যায়।
৩. মুনাফার টাকার উৎসে কর কেটে নেওয়া হয়।
৪. তাৎক্ষণিকভাবে নগদায়ন করার সুবিধা সীমিত।
এফডিআর
এটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখতে হয়। আপনার টাকা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রেখে মুনাফা নেওয়া যায়। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এফডিআর করা যায়।
সুবিধি কী কী
১. ব্যাংকভেদে এফডিআরের মেয়াদ বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে। সাধারণত ৩ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত এফডিআর করা হয়।
২. এফডিআরের বিপরীতে ইচ্ছা করলে ঋণ নেওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে যত টাকার এফডিআর করা হয়, সাধারণত এর ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়।
৩. কিছু ব্যাংক মাসিক বা তিন মাস ভিত্তিতে সুদ প্রদান করে। যা নিয়মিত আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
৪. টাকা প্রয়োজন হলে তুলনামূলকভাবে সহজে এফডিআর ভাঙানো যায়।
অসুবিধা কী কী
১. সাধারণত সুদের হার সঞ্চয়পত্রের চেয়ে কম। সুদের হার ৬ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে থাকে। কিছু ব্যাংক এর বেশি হারের সুদ দেয়।
২. ব্যাংকের স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে এফডিআরের ভবিষ্যৎ।
৩. সময়ের আগে ভাঙালে সুদ কমে যায়।