Samakal:
2025-08-01@19:42:06 GMT

নাকের বাঁকা হাড়

Published: 10th, March 2025 GMT

নাকের বাঁকা হাড়

নাকের হাড় বাঁকা খুবই সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষেরই নাকের হাড় কিছুটা বাঁকা থাকে। যদি এর কোনো উপসর্গ না থাকে তাহলে এটি তেমন কোনো সমস্যাই নয়, যা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। অর্থাৎ হাড় বাঁকা থাকলেই যে অপারেশনের দরকার, তা নয়। তবে আপনার নাকের মাঝের হাড় যদি অতিরিক্ত বাঁকা হয় এবং এর ফলে সৃষ্ট নিচে উল্লিখিত সমস্যাগুলোর সম্মুখীন নিয়মিতই হতে হয়, তাহলে একজন নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী নাকের হাড় বাঁকার অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
নাকের হাড় বাঁকা থাকলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
নাকের হাড়টা যেদিকে বাঁকা, সেই পাশে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। নাক বন্ধ মনে হতে পারে। কারণ, বাঁকা অংশে বাতাস চলাচলের পথ সরু থাকে। মাথাব্যথা, মাথায় চাপ চাপ অনুভূতি, সব সময় সর্দি, এমনকি কানেও তালা লাগার মতো সমস্যা হতে পারে। হাড় বাঁকার কারণে নাক দিয়ে রক্তপাত এবং নাকের ভেতরে ইনফেকশন হতে পারে। হাড় বাঁকার কারণে সাইনাস ইনফেকশনের সময় নিঃসৃত শ্লেষ্মা (পোস্ট ন্যাসাল ড্রিপ) রোগীর নাকের পেছনে অথবা গলায় জমা হতে পারে। এই পোস্ট ন্যাসাল ড্রিপের শ্লেষ্মা জমা হওয়ার ফলে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, গলায় অস্বস্তি, গলাব্যথা, ঘ্রাণানুভূতি হারানো অথবা প্রায় সময় গলা পরিষ্কার করার প্রয়োজন হতে পারে। নাক দিয়ে শ্বাস নিতে না পারার কারণে রোগী নাক ডাকে, ঘুমের মধ্যে মুখ শুকিয়ে যায়।
চিকিৎসা
নাকের হাড় বাঁকা থাকলে এবং এই হাড় বাঁকার কারণে সৃষ্ট সমস্যা প্রাথমিকভাবে ওষুধ দ্বারা সমাধান না হলে অপারেশনের মাধ্যমে একে ঠিক করে নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে সার্জারির বিকল্প নেই। বেঁকে যাওয়া সেপটাম, অর্থাৎ নাকের পার্টিশন সোজা করতে এবং নাকের মধ্যকার বাতাস চলাচল সহজ করতে যে সার্জারি করা হয়, তাকে সেপ্টোপ্লাস্টি বলা হয়। তবে বয়সভেদে অপারেশনের ধরনেও রয়েছে ভিন্নতা। অপারেশনের পর ২৪ ঘণ্টার জন্য রোগীর নাকের ভেতরে প্যাক দেওয়া হয়। এই সময়ে রোগীকে আগে থেকে কাউন্সেলিং করা হয় মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য।
অপারেশন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা
আমাদের মন এখনও কুসংস্কারে ভরা। আধুনিক যুগে এসেও অনেকে নাকের হাড় বাঁকায় কবিরাজি চিকিৎসা গ্রহণ করে অজান্তে নিজের ক্ষতি করে থাকেন। অনেকের মধ্যে একটি ধারণা কাজ করে, নাকের হাড় বাঁকার অপারেশন করলেও রোগটি আবার হতে পারে। তবে ধারণাটি একদম সঠিক নয়। ভালোভাবে দক্ষ সার্জনের মাধ্যমে অপারেশন করা হলে রোগী অবশ্যই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়। এখানে মনে রাখতে হবে, অ্যালার্জিজনিত কারণে নাকের মাংস বেড়ে গেলে অপারেশনের পর আবার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু নাকের অ্যালার্জি না থাকলে হাড় বাঁকার অপারেশন করার পর আবার কোনো সমস্যা সাধারণত দেখা দেয় না।  v
[নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ, সিওমেক হাসপাতাল]

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ