ভারতীয় লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সম্প্রতি চর্চা তুঙ্গে। স্ত্রী ধনশ্রী বর্মার সঙ্গে তার ডিভোর্সের মামলা চলমান থাকলেও, এরই মাঝে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে চাহালের সঙ্গে দেখা যায় এক রহস্যময় নারীকে। তখন থেকেই শুরু হয় জল্পনা—চাহালের সঙ্গে এই তরুণী কে?

জানা যায়, ওই নারীর নাম আর জে মাহভাশ। কয়েক দিন আগেও চাহালের সঙ্গে তার একটি ছবি ভাইরাল হয়, যদিও তখন মাহভাশ সম্পর্কের গুঞ্জন নাকচ করে দিয়েছিলেন। তবে এবার ম্যাচের গ্যালারিতে দু’জনকে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখার পর নতুন করে গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে।

          View this post on Instagram                      

A post shared by Dhanashree Verma (@dhanashree9)

এই খবর পৌঁছে গেছে ধনশ্রীর কাছেও। আর তার সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে ভক্তরা ধারণা করছেন, চাহালকে হয়তো এখনই ছাড়তে প্রস্তুত নন ধনশ্রী। এতদিন ইনস্টাগ্রাম থেকে চাহালের সঙ্গে সব ছবি সরিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের পর ধনশ্রী তার ইনস্টাগ্রাম আর্কাইভ থেকে চাহালের সঙ্গে পুরোনো ছবি আবার প্রকাশ্যে এনেছেন। 

          View this post on Instagram                      

A post shared by Dhanashree Verma (@dhanashree9)

ফলে প্রশ্ন উঠছে, ধনশ্রী কি নতুন করে চাহালকে ফিরে পেতে চাচ্ছেন? এরপর আরও এক ইঙ্গিতপূর্ণ স্টোরিতে ধনশ্রী লেখেন, ‘মেয়েদের দোষ দেওয়া এখন ফ্যাশন।’ তার এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ