চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় উদযাপনের সময় হঠাৎ করেই শোনা গেল সেই পুরনো, তবে এখন ভাইরাল হয়ে ওঠা প্রশ্ন—‘ফাইনাল ম্যাচ ইউ পারফর্ম, হোয়াট হ্যাপেনিং।’ আর এবার সেই কথাটি বললেন খোদ ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া।

ম্যাচ শেষে যখন ভারতীয় ক্রিকেটাররা উদযাপন নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই আইসিসি ও স্টার স্পোর্টসের হয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন উপস্থাপক যতীন সাপরু। আনন্দঘন মুহূর্তে হার্দিক পান্ডিয়াকে উদযাপন নিয়ে প্রশ্ন করেন যতীন। উত্তরে মজা করে হার্দিক বলেন, ‘একজন প্লেয়ার লাইভ করছে আর প্রশ্ন করছে, ফাইনাল ম্যাচ ইউ পারফর্ম, হোয়াট হ্যাপেনিং।’

এই কথার রেশ ধরে যতীন স্মরণ করিয়ে দেন, ‘এই প্রশ্নটা তো বার্বাডোজে করেছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল।’

          View this post on Instagram                      

A post shared by Star Sports India (@starsportsindia)

উল্লেখ্য, ২০২৩ বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশের এক টিভি উপস্থাপক আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন ও মঈন আলীকে এই প্রশ্ন করেছিলেন। প্রশ্নটির ভাষা ও উচ্চারণে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন ক্রিকেটাররা, কিন্তু সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়।

এরপর থেকেই এই বাক্যটি একটি রসিকতা হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে ক্রিকেট মহলে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর ফাইনালের পর খেলোয়াড়দের মুখে প্রায়ই শোনা যায় এই কথা। এমনকি গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের পরও এই বাক্য নিয়ে মজা করেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল ও উপস্থাপক যতীন সাপরু। এবার সেই ট্রেন্ডে যোগ দিলেন হার্দিক পান্ডিয়াও।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়। 

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ