৫ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা
Published: 12th, March 2025 GMT
পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মহাসমাবেশ শেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন মেডিকেল শিক্ষার্থী-চিকিৎসকেরা।
পদযাত্রাটি আজ বুধবার বেলা ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সড়কে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে পদযাত্রাটি আটকে দেয়। তখন আন্দোলনকারীরা শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন।
পরে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার উদ্দেশে সচিবালয়ের দিকে রওনা হন। আর অন্য আন্দোলনকারীরা সড়কের পাশে অবস্থান নেয়।
পাঁচ দফা বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
দাবিগুলো হলো—১.
২. ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করা এবং শুধু এমবিবিএস/বিডিএস গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক কর্তৃক ওষুধ প্রেসক্রিপশন করা ছাড়া বাকি সব ধরনের প্রেসক্রিপশন নিষিদ্ধ করা।
৩. উপজেলায় তীব্র চিকিৎসকসংকট মোকাবিলায় চিকিৎসকদের শূন্য পদে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করতে হবে। প্রতিবছর ডেপুটেশনের কারণে উপজেলার সংকট মোকাবিলায় পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং চিকিৎসকদের বিসিএস এন্ট্রি বয়স ৩৪-এ উন্নীতকরণ। একই সঙ্গে আলাদা হেলথ সার্ভিস কমিশনের আওতায় ষষ্ঠ গ্রেডে চাকরি প্রবেশপথ তৈরি।
৪. সব ম্যাটস বন্ধ ঘোষণা এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ। স্যাকমো পদবি পরিবর্তন-পূর্বক ‘মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ পদবি চালু। ইতিমধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থীদের প্যারামেডিকস হিসেবে সুপারিশ।
৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইনের অবিলম্বে বাস্তবায়ন।
পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আব্বাস ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে একটি দাবি পূরণ হয়েছে। অন্য দাবিগুলো আদায়ে আন্দোলন চলবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ শেষে তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছেন।
পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আব্বাস ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে একটি দাবি পূরণ হয়েছে। অন্য দাবি আদায়ে আন্দোলন চলবে। এখন শহীদ (১১টা ১৫ মিনিট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করছি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?