পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মহাসমাবেশ শেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন মেডিকেল শিক্ষার্থী-চিকিৎসকেরা।

পদযাত্রাটি আজ বুধবার বেলা ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সড়কে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে পদযাত্রাটি আটকে দেয়। তখন আন্দোলনকারীরা শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন।

পরে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার উদ্দেশে সচিবালয়ের দিকে রওনা হন। আর অন্য আন্দোলনকারীরা সড়কের পাশে অবস্থান নেয়।

পাঁচ দফা বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

দাবিগুলো হলো—

১.

চিকিৎসক বা চিকিৎসক-সমার্থক যেকোনো পদবি ব্যবহার-সংক্রান্ত আদালতে ১৩ বছর ধরে চলমান তিনটি রিট অবিলম্বে নিষ্পত্তি করতে হবে।

২. ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করা এবং শুধু এমবিবিএস/বিডিএস গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক কর্তৃক ওষুধ প্রেসক্রিপশন করা ছাড়া বাকি সব ধরনের প্রেসক্রিপশন নিষিদ্ধ করা।

৩. উপজেলায় তীব্র চিকিৎসকসংকট মোকাবিলায় চিকিৎসকদের শূন্য পদে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করতে হবে। প্রতিবছর ডেপুটেশনের কারণে উপজেলার সংকট মোকাবিলায় পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং চিকিৎসকদের বিসিএস এন্ট্রি বয়স ৩৪-এ উন্নীতকরণ। একই সঙ্গে আলাদা হেলথ সার্ভিস কমিশনের আওতায় ষষ্ঠ গ্রেডে চাকরি প্রবেশপথ তৈরি।

৪. সব ম্যাটস বন্ধ ঘোষণা এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ। স্যাকমো পদবি পরিবর্তন-পূর্বক ‘মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ পদবি চালু। ইতিমধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থীদের প্যারামেডিকস হিসেবে সুপারিশ।

৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইনের অবিলম্বে বাস্তবায়ন।

পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আব্বাস ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে একটি দাবি পূরণ হয়েছে। অন্য দাবিগুলো আদায়ে আন্দোলন চলবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ শেষে তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছেন।

পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আব্বাস ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে একটি দাবি পূরণ হয়েছে। অন্য দাবি আদায়ে আন্দোলন চলবে। এখন শহীদ (১১টা ১৫ মিনিট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করছি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র চ ক ৎসক পদয ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ