৩৪ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির দায়ে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বিউটি টোব্যাকোর সিগারেট তৈরির কারখানা সিলগালা করে দিয়েছেন যৌথ বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাথী দাস।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) উপজেলার নতুন পাড়ায় অভিযান চালিয়ে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ সময় কারখানাটি থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ব্যান্ডরোল ও সিগারেটের শলাকা জব্দ করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাথী দাস বলেন, ‘‘বিউটি টোব্যাকোর বিরুদ্ধে প্রায় ৩৪ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযানে ভ্যাট ফাঁকির সত্যতা মিলেছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে সিগারেট তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল। এছাড়া, কারখানা থেকে নকল ব্যান্ডরোল ও সিগারেটের শলাকা জব্দ করা হয়েছে।’’

‘‘পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম অমান্য করে কারখানা পরিচালনাসহ নানান অসঙ্গতি থাকায় বিউটি টোব্যাকোর কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।’’- যোগ করেন তিনি।

অভিযানে ভ্যাট কর্মকর্তা, কাস্টমস কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় ভ্যাট কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পৃথক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট সাথী দাস।

শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

কামাল হোসেন অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ