দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সালথা-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়কে শুরু হয়েছে বাস চলাচল। ছাত্র-জনতা ও স্থানীয়দের নানা আন্দোলন-কর্মসূচির পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, আজ বুধবার সকালে সালথা উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বালী, সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মাসুম বিল্লাহ, সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আতাউর রহমান, নব কাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহিন মাতুব্বর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ ও মিনিবাস মালিক সমিতির লোকজনসহ স্থানীয় শতাধিক সচেতন নাগরিকের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাস চলাচলের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাস চলাচলে ড্রাইভারদের দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন। দীর্ঘদিন পর বাস চলাচলের অনুমতি পেয়ে অনেককে আনন্দ উল্লাস ও মিছিল করতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, সালথা রুটে থ্রি হুইলার গাড়ি চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। গাড়িগুলো জেলা শহরে যাত্রী আনা-নেওয়া করত। চালকদের বেপরোয়া চলাচলের কারণে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হতো সাধারণ যাত্রীরা। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এতে নড়েচড়ে বসে ছাত্র-জনতা ও স্থানীয় সচেতন মহল। তারা থ্রি হুইলার গাড়ি বন্ধ ও বাস চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করে আসছিল, যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়ে আসছিল।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা হতে আসিনি, তবে...

গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।

এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।

‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।

আইমন শিমলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ