জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা চায় বাজুস
Published: 12th, March 2025 GMT
সারা দেশে স্বর্ণ ও জুয়েলারির দোকানে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও সশস্ত্র হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। গত আট মাসে রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কমপক্ষে ১৭টি জুয়েলারি দোকানে এ ধরনের হামলা হয়েছে, যার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।
চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলেও সম্প্রতি সরকারের পদক্ষেপের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। খবর বিজ্ঞপ্তি
বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসেই সারা দেশে ১১টি জুয়েলারি দোকানে চুরি-ডাকাতি হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো গত ৩ জানুয়ারি সীমান্ত সম্ভার মার্কেটে ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্স থেকে ১৫৯ ভরি সোনার অলংকার, ৯ জানুয়ারি সিলেটের নুরানী জুয়েলার্স থেকে ২৫০ ভরি সোনা, একই দিন ফরিদপুরের প্রগতি জুয়েলার্সে ভরদুপুরে চুরির চেষ্টা, ১২ জানুয়ারি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ঐশী জুয়েলার্স থেকে ৬০ ভরি সোনার অলংকার ও নগদ ২ লাখ টাকা, ২৪ জানুয়ারি ঢাকার হাজারীবাগের ইতি জুয়েলার্স থেকে ৭০ ভরি সোনার অলংকার, ৯ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ২৫ ভরি সোনা, ২০ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের পুষ্পিতা জুয়েলার্স থেকে ১৪ ভরি সোনা ও নগদ ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা ডাকাতি করা হয়।
এ ছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বনশ্রীতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় নিজ বাসার সামনে থেকে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ও ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
বিবৃতিতে বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো বারবার অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই সংকট সমাধানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় নিরাপত্তার স্বার্থে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দ্রুত ফেরত দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি পুলিশি টহল ও সিসিটিভি নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করা জরুরি।
বাজুসের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, দিনদুপুরে ডাকাতি ও হামলার ঘটনায় ব্যবসায়ীরা অস্থির। সম্প্রতি মিরপুর-১০–এর শাহআলী প্লাজায় জুমার নামাজের সময় ১৪-১৫ সদস্যের ডাকাত চক্র তালা ভেঙে ডাকাতির চেষ্টা করে। এসব ঘটনায় বাজুস জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের আশপাশে পুলিশি টহল বৃদ্ধি, অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণ ও ব্যবসায়ীদের জন্য পৃথক নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।
সরকারের গৃহীত সাম্প্রতিক নিরাপত্তা উদ্যোগের জন্য সংগঠনটি কৃতজ্ঞতা জানালেও বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করছে বাজুস।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় র
এছাড়াও পড়ুন:
এভাবে ‘চিকেনপাতুরি’ রান্না করেছেন?
ভাত অথবা রুটির সঙ্গে খেতে পারেন চিকেনপাতুরি। গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে খেতেও বেশ ভালো লাগে এই পদ। সহজেই এই পদ তৈরি করা যায়। এর জন্য অল্প কয়েকটি উপকরণ লাগে যেমন—বোনলেস চিকেন, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, লেবুর রস, চিকেন মশলা, গরম মশলার গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, পেঁয়াজ কুচি, তেল ও লবণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক চিকেনপাতুরির রেসিপি।
প্রথম ধাপ: চিকেনের টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে সব বাটা মশলা, লবণ, লেবুর রস দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ম্যারিনেট করুন। তারপর ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে আধাঘণ্টার জন্য রেখে দিন।
আরো পড়ুন:
ওভেন ছাড়াই তন্দুরি চিকেন বানিয়ে নিন
রক্তস্বল্পতা কমায় হাঁসের মাংস
দ্বিতীয় ধাপ: কড়াইতে তেল গরম করে নিন। তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভেজে নিন।এবার এই পেঁয়াজ বেরেস্তা মিশিয়ে দিন ম্যারিনেট করে রাখা মাংসে। তারপর মাংস কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ: মাংস কষানো হয়ে গেলে কলা পাতার মধ্যে চিকেন ঢেলে দিতে হবে। ভালো করে মুড়িয়ে কলাপাতা সুতা দিয়ে বেঁধে দিন। আলাদা একটা কড়াইতে ভালো করে তেল ব্রাশ করে নিন। মুড়িয়ে রাখা চিকেন তেল মাখানো কড়াইতে বসিয়ে দিন। চুলার আঁচ কমিয়ে রাখুন, এভাবে ২০ ঢাকা দিয়ে রান্নাটা করুন।
শেষ ধাপ: আরও ১০ মিনিট পর কড়াইয়ের ঢাকনা খুলে দিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো চিকেনপাতুরি।
ঢাকা/লিপি