বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী এবং দ্রুতগতিতে রং করার দারুণ একটি অনুষঙ্গ। বাড়ির সৌন্দর্য ও সুরক্ষার জন্য অনন্য সমাধান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের রঙের খোঁজ করেন গ্রাহকেরা। রং করার কাজ বেশ সময়সাপেক্ষ ও ঝামেলার মনে করেন অনেকেই, তাদের জন্য বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন দারুণ একটি সমাধান। এই রং সুন্দর ও দীর্ঘস্থায়ী দেয়ালের জন্য মানসম্পন্ন রঙের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ওয়ান কোট ইমালশন শুধু দেয়ালের চেহারা বদলে দিচ্ছে না, বরং দেয়ালের স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেয় এবং ঘরের পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর রাখে।
বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন রঙের মাধ্যমে দেয়ালে শক্তিশালী ও অভিন্ন ফিনিশ নিশ্চিত করা যাচ্ছে। সাধারণ রঙের তুলনায় এটি অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ কভারেজ দেয়, এতে কম রঙেই অধিক পরিমাণ দেয়াল রং করা যাচ্ছে। আর একবার রঙের ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই রং দ্রুত শুকিয়ে যায়। এই রঙের মাধ্যমে নান্দনিক আবেদন ও বিলাসবহুল চকচকে ভাব আনা যাচ্ছে। ওয়ান কোট ইমালশন রং দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে ভবনের রং নিশ্চিত করা যাচ্ছে বলে দ্রুত পরিশীলিত ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি হয়।
এই রং দেয়ালে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষার পাশাপাশি সহজভাবে দেয়াল পরিষ্কার করার সুযোগ দিচ্ছে। এই রঙের দেয়ালের উজ্জ্বলতা অনেক দিন ধরে অক্ষুণ্ন থাকে আর ঘর সব সময় নতুনের মতো দেখায়। অনেক সময় দেয়ালে আর্দ্রতা বা বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে রং উঠে যায় বা বিবর্ণ হয়ে যায়। তবে বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন ক্ষার প্রতিরোধী, যার ফলে এটি দেয়ালের গুণগত মান বজায় রাখে এবং রং দ্রুত নষ্ট হয় না। ফলে একবার রং করলে তা দীর্ঘদিন সুন্দর ও প্রাণবন্ত থাকে। যেকোনো ঘরকে নতুন ভাব আনতে এই রঙের জুড়ি নেই। যাঁরা শহরে থাকেন, নিজের ঘরে ভিন্নমাত্রিক ছাপ আনতে চেষ্টা করছেন তাঁদের জন্য এই রং সুন্দর সুযোগ তৈরি করছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক