Prothomalo:
2025-05-01@09:57:11 GMT

সাশ্রয়ী রং ওয়ান কোট

Published: 13th, March 2025 GMT

বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী এবং দ্রুতগতিতে রং করার দারুণ একটি অনুষঙ্গ। বাড়ির সৌন্দর্য ও সুরক্ষার জন্য অনন্য সমাধান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের রঙের খোঁজ করেন গ্রাহকেরা। রং করার কাজ বেশ সময়সাপেক্ষ ও ঝামেলার মনে করেন অনেকেই, তাদের জন্য বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন দারুণ একটি সমাধান। এই রং সুন্দর ও দীর্ঘস্থায়ী দেয়ালের জন্য মানসম্পন্ন রঙের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ওয়ান কোট ইমালশন শুধু দেয়ালের চেহারা বদলে দিচ্ছে না, বরং দেয়ালের স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেয় এবং ঘরের পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর রাখে।

বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন রঙের মাধ্যমে দেয়ালে শক্তিশালী ও অভিন্ন ফিনিশ নিশ্চিত করা যাচ্ছে। সাধারণ রঙের তুলনায় এটি অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ কভারেজ দেয়, এতে কম রঙেই অধিক পরিমাণ দেয়াল রং করা যাচ্ছে। আর একবার রঙের ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই রং দ্রুত শুকিয়ে যায়। এই রঙের মাধ্যমে নান্দনিক আবেদন ও বিলাসবহুল চকচকে ভাব আনা যাচ্ছে। ওয়ান কোট ইমালশন রং দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে ভবনের রং নিশ্চিত করা যাচ্ছে বলে দ্রুত পরিশীলিত ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি হয়। 

এই রং দেয়ালে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষার পাশাপাশি সহজভাবে দেয়াল পরিষ্কার করার সুযোগ দিচ্ছে। এই রঙের দেয়ালের উজ্জ্বলতা অনেক দিন ধরে অক্ষুণ্ন থাকে আর ঘর সব সময় নতুনের মতো দেখায়। অনেক সময় দেয়ালে আর্দ্রতা বা বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে রং উঠে যায় বা বিবর্ণ হয়ে যায়। তবে বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন ক্ষার প্রতিরোধী, যার ফলে এটি দেয়ালের গুণগত মান বজায় রাখে এবং রং দ্রুত নষ্ট হয় না। ফলে একবার রং করলে তা দীর্ঘদিন সুন্দর ও প্রাণবন্ত থাকে। যেকোনো ঘরকে নতুন ভাব আনতে এই রঙের জুড়ি নেই। যাঁরা শহরে থাকেন, নিজের ঘরে ভিন্নমাত্রিক ছাপ আনতে চেষ্টা করছেন তাঁদের জন্য এই রং সুন্দর সুযোগ তৈরি করছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য স ন দর

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ