স্ত্রী-ছেলেসহ সাদেক খানের ২১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 13th, March 2025 GMT
ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী মিসেস ফেরদৌসী খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের ২১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ৪ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৬৮৬ টাকা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
২১টি হিসাবের মধ্যে মিসেস ফেরদৌসী খানের ১৪টি, সাদেক খানের ৫টি ও ফাহিম সাদেক খানের ২টি।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে সাদেক খান, তার স্ত্রী এবং ছেলের পৃথক তিনটি আবেদন করে ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক কে এম মর্তুজা আলী সাগর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, মো.
নিজ নামে ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৭ কোটি ৭০ হাজার ৩২৬ টাকা জমা ও ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার হস্তান্তর, স্থানান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারার এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলাটি বর্তমানে তদান্তাধীন। তদন্তকালে ফেরদৌসী খান এবং মো. সাদেক খানের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ফেরদৌসী খান ও মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর করে বহিঃবাংলাদেশে গমন করে আত্মগোপনের সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে ফেরদৌসী খান এবং আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধকরণ করা প্রয়োজন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হ স ব অবর দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার
শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী