বাড়ি গেলে এখনো বাবার সঙ্গে মাঠে–ঘাটে কাজ করেন কাবাডি দলের অধিনায়ক শ্রাবনী
Published: 15th, March 2025 GMT
নড়াইলের কেবিএম গার্লস হাইস্কুলে ষষ্ঠ কি সপ্তম শ্রেণিতে পড়েন তখন শ্রাবনী মল্লিক। তাঁর পিসতুতো বোন রিমি সরকার একদিন ক্রিকেট খেলতে নিয়ে গেলেন। ক্রিকেটের নিয়মরীতি শ্রাবনীর মনে ধরল না। সেই যে ক্রিকেট মাঠ ছাড়লেন, আর গেলেন না। স্থানীয় কোচ রবি রজিবুলের হাত ধরে হ্যান্ডবল-কাবাডিতে নাম লেখালেন। রজিবুলের কাছ থেকে স্থানীয় আরেক কোচ তরিকুল ইসলামের কাছ পাঠ নিলেন। স্কুলে পড়ার সময়ই বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন বা বিজেএমসির ক্রীড়া দলে যোগ দিলেন শ্রাবনী মল্লিক। ১২-১৩ বছর আগে সেখানেই পুরোদমে কাবাডি খেলা শুরু।
কাবাডির পাশাপাশি অন্য খেলাও খেলতেন। তাঁর ভেতরের শটপুট-প্রতিভা বিজেএমসিতে বিকাশ লাভ করে। এই ক্লাবের হয়ে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় শটপুটে পান সোনা। বিজেএমসির জার্সিতে ঢাকায় জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় এসেই মাতিয়ে দেন। জেতেন সোনা। শটপুটে জাতীয় স্তরে ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সোনা জিতেছেন।
এ মাসেই নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ র বন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু
ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।
এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী