ঢাকার টঙ্গী স্টেশন রোডে যাত্রা শুরু করেছে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ পরিবেশক শোরুম ‘ক্যাপিটা ইলেকট্রনিক্স’।

এ শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার, ওভেন, এলইডি লাইট, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনসহ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, আইসিটি, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য।

গত ৯ মার্চ, ২০২৫ বিকেলে ক্যাপিটা ইন্টারন্যাশনাল টাইমস স্কয়ারে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম উদ্বোধন করেন চিত্রনায়ক আমিন খান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার ও ইভা রিজওয়ানা, ক্যাপিটা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাহিরা হুসাইন খান ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্যাপ্টেন এ এস এম আক্তার হাসান, ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আহমেদ আসিফুর রহমান, অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর (ব্র্যান্ডিং ইনাচার্জ) মাহাবুবুল হাসান মিলটন, সিনিয়র ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মিরাজুল হক মিনাসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে আমিন খান বলেন, টঙ্গীতে ক্যাপিটা ইলেকট্রনিক্স শোরুমটি আধুনিক পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে। এ শোরুম প্রমাণ করে ওয়ালটন সত্যিকার অর্থে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করছে। নতুন শোরুমে ক্রেতাদের জন্য আধুনিক এবং উন্নত মানের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা দেবে।

তিনি আরো বলেন, ওয়ালটন এখন দেশের গর্বের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ক্রেতারা দেশে তৈরি পণ্য গ্রহণ করছেন বলেই ওয়ালটন আজ এত বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। দেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা মিটিয়ে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটনের পণ্য এখন ৪০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ এলাকায় নতুন শোরুমের মাধ্যমে ওয়ালটনের ব্যবসায়িক পরিধি আরো বাড়বে।

ক্যাপিটা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাহিরা হুসাইন খান বলেন, আন্তর্জাতিক মানের পণ্য ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে ওয়ালটন আজ বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড। ওয়ালটনের সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত হয়ে আমরা আনন্দিত। আমাদের প্রত্যাশা, আমরা সফলতা পাব। নতুন এ শোরুম থেকে এ এলাকার মানুষ এখন আরো সহজেই ওয়ালটনের পণ্য ও সেবা পাবেন। এখানকার প্রতিটি ঘরে স্থান পাবে দেশে তৈরি ওয়ালটনের পণ্য।

ঢাকা/একরাম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ