রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) গত শনিবার নতুন একটি ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করা হয়েছে। এর নাম ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক ব্যাংকিং, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকস (আইআইবিএফই-ইউআইইউ)। দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও ইসলামি ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ ইনস্টিটিউট ভূমিকা রাখবে।

ইনস্টিটিউট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম সাদিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো.

ফরিদউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মহাপরচিলক মো. আখতারুজ্জামান, সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশের (সিএসবিআইবি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ও ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন ইউআইইউর ভাইস চ্যান্সেলর মো. আবুল কাশেম মিয়া।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং খাতের বিস্তারে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে। ইউআইইউর এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং ইসলামি ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে।

উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং দ্বিতীয় অধিবেশনের টেকনিক্যাল সেশনে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ইসলাম বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিকসহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘রাজশাহীর “চাঁদাবাজদের” তালিকায় উল্লেখিত ৬ ব্যক্তি জামায়াতের জনশক্তি নয়’

রাজশাহীতে ‘চাঁদাবাজদের’ তালিকায় জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতা-কর্মীর নাম আসায় প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। আজ মঙ্গলবার দলটির রাজশাহী মহানগরীর আমির কেরামত আলী ও সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডলের এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি শাহাদৎ হোসাইন।

সম্প্রতি রাজশাহীর ‘চাঁদাবাজ’ হিসেবে ১২৩ জনের একটি তালিকা বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি পুলিশের নাকি সরকারের অন্য কোনো সংস্থার তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এতে ‘চাঁদাবাজ’ হিসেবে ১২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ওই তালিকার ৬ জনের নামের পাশে জামায়াত সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করা হয়। পরে ওই তালিকা নিয়ে গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে তালিকাটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে ১২৩ ‘চাঁদাবাজের’ তালিকা নিয়ে তোলপাড়, আছেন বিএনপি–জামায়াতের ৫০ জন২৮ জুলাই ২০২৫

জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফেসবুকসহ কিছু অনলাইন পোর্টালে রাজশাহীর ১২৩ জন চাঁদাবাজ শীর্ষক তালিকায় ৬ জনের নামের পাশে জামায়াতকর্মী হিসেবে উল্লেখ আছে। এসব মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। ১২৩ জন চাঁদাবাজের এই কাল্পনিক তালিকা কতটুকু সঠিক ও নির্ভরযোগ্য—সেটি নিয়েও প্রশ্ন আছে। কারণ, তালিকাটি কারা তৈরি করেছেন, সেটির উল্লেখ নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও এই তালিকার ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। মূলত জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যেই কোনো কুচক্রী মহল এই অপপ্রচার চালিয়েছে। তালিকায় যাঁদের নামের পাশে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে দলটির কোনো জনশক্তির নাম, পিতা ও ঠিকানার সঙ্গে মিল নেই। তাঁরা জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর কোনো পর্যায়ের জনশক্তিও নন। জামায়াতে ইসলামীর কোনো জনশক্তি চাঁদাবাজি করে না এবং কাউকে তা করতেও দেওয়া হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি, ফি এক হাজার টাকা
  • আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে বিশ্বে তৃতীয় ইউআইইউ
  • ‘রাজশাহীর “চাঁদাবাজদের” তালিকায় উল্লেখিত ৬ ব্যক্তি জামায়াতের জনশক্তি নয়’