থানা কম্পাউন্ডে চুরি, নিয়ে গেল সোনা ও নগদ টাকা
Published: 17th, March 2025 GMT
ফেনীতে থানা কম্পাউন্ডে পুলিশ কর্মকর্তার কক্ষ থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। ফেনী ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) আমানত উল্ল্যাহর কক্ষের স্টিলের ট্রাংক ভেঙে স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ প্রায় আট লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে চোরের দল। আজ সোমবার সকালে ফেনী মডেল থানার পেছনের অংশে পুলিশ সদস্যদের থাকার ঘরে (যানবাহন কার্যালয়) এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) আমানত উল্ল্যাহ বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত আমার ছোট ভাই রমজান উপলক্ষে জাকাত দেওয়ার জন্য টাকা পাঠিয়েছিল। এ ছাড়া বিয়ের স্মৃতি হিসেবে স্ত্রীর স্বর্ণের চেইন ও আংটিসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী ট্রাংকে রাখা ছিল। সকাল ৭টার দিকে ডিউটির উদ্দেশ্যে কক্ষ থেকে বের হয়েছিলাম। দুপুর ১২টার দিকে ফিরে এসে কক্ষে থাকা ট্রাংক ভাঙা অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। কক্ষে থাকা ৩ লাখ টাকা, দুটি স্বর্ণের চেইন, চারটি আংটি, একটি এলইডি টিভি ও একটি মোবাইলসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্যের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বর ণ
এছাড়াও পড়ুন:
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।
তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’
ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।
দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।