ঈদ ঘিরে রেমিট্যান্স জোয়ার, ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ডলার
Published: 20th, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রেমিট্যান্স জোয়ার বইছে, যা গত কয়েক মাসের রেকর্ড ছড়িয়ে গেছে।
ঈদ এলে রেমিট্যান্স প্রবাহ স্বাভাবিকভাবে বাড়ে। তবে এবার সেই গতিতে জোয়ার দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রবাসীরা দেশে আত্মীয়-স্বজনের কাছে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা ঈদের আগের কয়েক দিনে আরো বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
চলতি মার্চের ১৯ দিনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার, দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে)।
আরো পড়ুন:
বেড়েছে ব্যাংক-বহির্ভূত ঋণ, ৬ মাসে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার
কিছু ব্যাংকের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ: গভর্নর
মার্চের এই ১৯ দিনে গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কোটি ৮৪ লাখ ডলার বা এক হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার ( ২০ মার্চ ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ১৯ মার্চ এক দিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। মার্চের ১৯ দিনে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২২৫ কোটি ২০ লাখ ডলার।
২০২৪ সালের একই সময়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় একশ কোটি টাকা বেড়েছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স আসে। আর আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার এবং ডিসেম্বর ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বৈধ পদে দেশে এসেছে।
ঢাকা/এনএফ/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স ঈদ র ম ট য ন স এস ছ ১৯ দ ন ২০ ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ