বিচারের পর জনগণ ক্ষমা করলে রাজনীতি করতে পারবে আওয়ামী লীগ: রিজভী
Published: 21st, March 2025 GMT
যারা গণহত্যা-লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নন, তাদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, কিন্তু বিচার নিয়ে কথা হচ্ছে না। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারের পর আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর জনগণ ক্ষমা করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে দুস্থদের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জুলাই আন্দোলনে যারা গণহত্যায় জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের যারা অপরাধী তাদের বিচার নিশ্চিত হওয়ার পর জনগণ রাজনীতি করার সুযোগ দিলে আমাদের কিছু বলার নেই। যারা ছাত্রহত্যা করেনি, যারা অর্থ লোপাট করেনি- এমন সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে আসলে আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না- প্রশ্ন করেন রিজভী।
এ সময় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার হতেই হবে। আর কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন না হয়, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান রিজভী।
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি গোষ্ঠী ৫ আগস্টের পর সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু গত ছয় মাসে দৃশ্যমান কোনো সংস্কারের কিছু দেখা যায়নি। দেশের কোথাও স্থিতিশীলতা নেই। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা থেকে মুক্তি পেলেও স্বৈরাচারমুক্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এজন্য দরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। এ সময়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ব এনপ ব এনপ র র জন ত আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ভুল শুধরে জনগণের আস্থা ফেরানোর সুযোগ এই নির্বাচন: আইজিপি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পুলিশের জন্য ভুল শুধরে জনমনে আস্থা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছেন বাহিনীটির মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সময় মাঠে থাকা প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে হবে।
রোববার বিকেলে রাজশাহী মহানগর পুলিশ লাইনসের পিওএম সভাকক্ষে পুলিশ সদস্যদের জন্য আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিদর্শনে গিয়ে আইজিপি এ কথা বলেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
রাতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. গাজিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ট্রেনিং স্কুলের তত্ত্বাবধানে তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। আজ আইজিপি কর্মশালার ষষ্ঠ ব্যাচের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, জাতীয় নির্বাচন একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যেখানে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বশীলতা, সততা ও পেশাদারত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এ সময় অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন আইজিপি। এ সময় তিনি নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে পুলিশের করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে আইন অনুযায়ী কঠোর থাকার নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে আইজিপির সঙ্গে রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহানসহ রাজশাহী রেঞ্জ, রাজশাহী মহানগর পুলিশ এবং রাজশাহী জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।