ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভিন্ন ভাবনায় তপু বর্মন
Published: 23rd, March 2025 GMT
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ খেলতে ইতোমধ্যে শিলংয়ে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। সেখানেই নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে ভারতের বিপক্ষে লড়তে। আজ রোববার (২৩ মার্চ) অনুশীলন শেষে বাংলাদেশের রক্ষণভাগের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তপু বর্মন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি এই ম্যাচকে দেখছেন অন্যরকম সম্ভাবনা হিসেবে। আর সেটা মূলত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা বাংলাদেশি খেলোয়াড় হামজা দেওয়ান চৌধুরীর উপস্থিতির কারণে।
তপু বর্মন বলেন, ‘‘ভারতের বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলেছি, তবে এবার ব্যাপারটা একদম আলাদা। দেখতেই পারছেন, ম্যাচ ঘিরে কতটা হাইপ তৈরি হয়েছে! দেশের মানুষ অনেক আশাবাদী, আমাদের দিকেই তাকিয়ে আছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো রক্ষণভাগ শক্ত রাখা এবং গোল না খাওয়া। আমি ও আমার তিনজন ডিফেন্ডার সতীর্থ মিলে শক্ত প্রতিরোধ গড়তে চাই।’’
ভারতকে সমীহ করে তপু বলেন, ‘‘ভারত বরাবরই ভালো দল। তাদের খেলোয়াড়েরা আইএসএলের মতো প্রতিযোগিতামূলক লিগ খেলে এসেছে। যদিও ইনজুরির কারণে কয়েকজন খেলোয়াড় ছিটকে গেছে, তবে যারা বদলি হিসেবে দলে যোগ দিয়েছে, তারাও ভালো মানের ফুটবলার। ভারতীয় দল যে মানের ফুটবল খেলে, সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’’
আরো পড়ুন:
‘আমাদের হাতে এখনও দ্বিতীয় লেগ আছে’
জার্মানি-ইতালি ম্যাচে ফিরে আসছে ২০০৬ বিশ্বকাপের স্মৃতি
ভারত বাংলাদেশের বিপক্ষের এই ম্যাচকে সামনে রেখে দলে ফিরিয়েছে সুনীল ছেত্রীকে। অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ডের বিষয়ে তপু বলেছেন, ‘‘দেখুন, সুনীল অবসর নেওয়ার পর ভারত কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি। তিনি ফেরার পরই দল জয়ের ধারায় ফিরেছে। এটা থেকেই বোঝা যায়, তিনি দলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তার ওপর আলাদা নজর দিতে হবে আমাদের।’’
বাংলাদেশ দলে হামজা যোগ দিয়েছেন মাত্র ছয়দিন হলো। এর মধ্যেই তিনি সবার মন জয় করে নিয়েছেন। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করে ফেলেছেন। তার কাছ থেকে শেখার সুযোগ দেখছেন তপু, ‘‘হামজা দলের সবাইকে আপন করে নিয়েছে। তার সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে আমাদের। বিশেষ করে, তার কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে উন্নতির পথ নিয়ে আলোচনা করি। শুধু ফুটবল নয়, ব্যক্তিগত বিষয়েও কথা হয় আমাদের। এই ভালো বোঝাপড়াটা আমাদের জন্য দরকার ছিল। এই সম্পর্ক ধরে রাখতে পারলে মাঠে ভালো ফল করা সম্ভব। আমাদের দায়িত্ব হলো তাকে বোঝানো যে, আমরা সবাই একসঙ্গে সফল হতে চাই।’’
বাংলাদেশ দলের জন্য ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচটি কেবল আরেকটি ম্যাচ নয়, বরং নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের বড় সুযোগ। এবার দেখার বিষয় তারা কতটা সফল হতে পারে!
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল এই ম য চ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।