ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে অবশেষে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে তুরস্কের এক আদালত। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পথে নেমেছেন তুরস্কের হাজারো নাগরিক।

গতকাল রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত এমন সময় এলো যখন তাকে আটকের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে যাচ্ছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতা ও হাজারো বিক্ষোভকারী। তাদের মতে, এটি একটি রাজনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ। 

আরো পড়ুন:

শেষ হচ্ছে পিকেকে-তুরস্কের ৪০ বছরের সংঘাত, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

রাশিয়া-ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনার জন্য তুরস্ক আদর্শ স্থান: এরদোগান

চার দিন আগে ইমামোগলুকে আটকের পর গতকাল রবিবার তাকে আদালতে তোলা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য রেকর্ড, টেন্ডারবাজী এবং অপরাধী সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনেন। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

৫৩ বছর বয়সী একরেম ইমামোগলু তুরস্কের বিরোধী রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা এবং ইস্তাম্বুলের বর্তমান মেয়র। সাম্প্রতিক সময়ে ইমামোগলু নিজেকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা তার। তাকে এমন একদিন কারাগারে পাঠানো হয়েছে, যেদিন প্রেসিডেন্টপ্রার্থী হিসেবে তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার কথা ছিল।

গত বুধবার ইস্তাম্বুলের এই মেয়রকে এক বিশেষ অভিযানে আটক করা হয়। এ ঘটনায় তার সমর্থকরা তুরস্কজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। শুধু ইস্তাম্বুলেই তিন লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেল। এসব বিক্ষোভে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তুরস্ক সরকার ২৬ মার্চ পর্যন্ত জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং তার রাজনৈতিক দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) অভিযোগ, ইমামোগলু ও তার দল সিএইচপির সঙ্গে তুরস্কের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) গোপন আঁতাত রয়েছে। তবে ইমামোগলু এবং সিএইচপি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

হেফাজতে নেওয়ার আগে নেওয়ার আগে এক্স-এ এক পোস্টে ইমামোগলু লিখেছিলেন, “আমরা কঠিন নিপীড়নের মুখোমুখি হচ্ছি। কিন্তু আমি হার মানব না। আমি নিজেকে আমার জাতির কাছে সমর্পণ করছি।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত রস ক র জন ত ক ত রস ক র স এইচপ

এছাড়াও পড়ুন:

৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা

টানা খেলার ধকল কাটাতে জাতীয় দল এখন বিশ্রামে। ‘এ’ দল ও হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের অনুশীলন হচ্ছে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে। তবে দুই দল মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন ক্রিকেটারের অনুশীলনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিকূল আবহাওয়া। বৃষ্টির কারণে অনুশীলন করতে না পারায় ক্রিকেটারদের মধ্যেও হতাশা কাজ করছে।

১০ জুন প্রধান কোচ ডেভিড হেম্পের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে ক্যাম্প শুরু করে এইচপি। চট্টগ্রাম থেকে একটি সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৭ দিনে সব মিলিয়ে মাত্র ১১ থেকে ১২ দিন মূল মাঠে অনুশীলন করা গেছে। অন্য সময় ভাগে ভাগে স্কিল অনুশীলন ও ফিটনেস নিয়ে কাজ হয়েছে ইনডোরে। তবে ইনডোরে টার্ফ বসানোর কাজ চলায় সেখানেও বিরতি দিতে হয়েছে।

আরও পড়ুনবিসিবির আমন্ত্রণে মাহমুদউল্লাহর ‘না’২৪ জুলাই ২০২৫

হাই পারফরম্যান্স দলের ম্যানেজার জুনায়েদ চৌধুরীর দাবি অবশ্য ভিন্ন। তিনি বলেছেন, তাঁরা ২৪-২৫ দিন মূল মাঠে অনুশীলন করেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এইচপির একাধিক ক্রিকেটার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে তাঁরা বেশির ভাগ দিনই অনুশীলন করতে পারেননি। জাতীয় দলের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে এটি তাঁদের জন্য বড় সুযোগ। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে অুশীলন করতে না পারায় তাঁদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।

প্রতিকূল আবহাওয়ায় চট্টগ্রামে এইচপি দলকে ঠিকমতো অনুশীলন করতে দেয়নি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা