ডিএসই ও সিএসইতে নতুন ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু
Published: 24th, March 2025 GMT
দেশের পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইস্যু করা নতুন ১০ বছর মেয়াদের ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) থেকে ডিএসই ও সিএসইতে ট্রেজারি বন্ডটির লেনদেন শুরু হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
তথ্য মতে, নতুন বন্ডটির নাম হলো- ‘‘10Y BGTB 19/03/2035’’। ডিএসইতে বন্ডটির লেনদেন কোড- ''TB10Y0335'' এবং ডিএসইতে স্ক্রিপ্ট কোড- "88531"। একইভাবে সিএসইতে বন্ডটির লেনদেন কোড- ''TB10Y0335'' এবং সিএসইতে ট্রেডিং আইডি- "50297"।
তথ্য মতে, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ডিএসই ও সিএসই’র ডেবট বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে বন্ডটির মেয়াদ আগামী ২০৩৫ সালের ১৯ মার্চ শেষ হবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের মূল্য ১০২.
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ল নদ ন স এসইত স এসই ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন আবার ৪০০ কোটি টাকা ছাড়াল
ঈদের ছুটির পর দ্বিতীয় কার্যদিবসে আজ সোমবার শেয়ারবাজারের লেনদেনে কিছুটা গতি ফিরেছে। তাতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক মাসের বেশি সময় পর লেনদেন ছাড়িয়েছে ৪০০ কোটি টাকা।
ডিএসইতে আজ সোমবার দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪১৭ কোটি টাকা। এক মাসের বেশি সময়ের ব্যবধানে এটিই ঢাকার বাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে সর্বশেষ গত ৭ মে ডিএসইতে সর্বোচ্চ ৫১৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে সূচকও। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৬০ পয়েন্ট বা সোয়া ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৮৪ পয়েন্টে। সূচকও এক মাসের বেশি সময় পর এতটা বেড়েছে। এর আগে সর্বশেষ ৮ মে ডিএসইএক্স সূচকটি ১০০ পয়েন্ট বেড়েছিল।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা দরপতনে ভালো ভালো অনেক কোম্পানির শেয়ার দর অবমূল্যায়িত পর্যায়ে চলে আসায় সম্পদশালী বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ আবার বাজারে সক্রিয় হতে শুরু করেছে। তারা নতুন করে কিছু কিছু বিনিয়োগ করছে। এ কারণে বাজারে লেনদেনে গতি দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় একটি ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহী জানান, গত রোববারের তুলনায় সোমবার তাঁদের প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের পরিমাণ তিন গুণের বেশি বেড়েছে। বিনিয়োগকারীরা এদিন শেয়ার বিক্রির চেয়ে কিনেছেন বেশি। আর ক্রেতাদের বড় অংশই ছিল উচ্চ সম্পদশালী বা বড় বড় বিনিয়োগকারীরা।
একই অবস্থা ছিল শীর্ষস্থানীয় আরও কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসে। এসব ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে দরপতনের কারণে কিছু শেয়ারের দাম এমন পর্যায়ে নেমেছে যে সেগুলোর দামই বাজারে বিনিয়োগকারী টেনে আনবে। যাঁরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী, তাঁরা দাম বেশি কমে গেলে শেয়ার কিনতে এগিয়ে আসেন। তবে বাজারে অস্থিরতা থাকলে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন।
শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ হাউস লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে সূচকের উত্থানে যেসব কোম্পানি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে, সেগুলো হলো ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, রবি আজিয়াটা, ওরিয়ন ইনফিউশন, গ্রামীণফোন, আইএফআইসি ব্যাংক ও একমি ল্যাবরেটরিজ। এই ১০ কোম্পানির শেয়ারের দামের উত্থানে এদিন ডিএসইএক্স সূচকটি ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে। আর এদিন সূচকে যেসব কোম্পানি সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তার মধ্যে ছিল স্কয়ার ফার্মা, ন্যাশনাল ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সী পার্ল বিচ রিসোর্ট, এসিআই লিমিটেড, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার, ব্যাংক এশিয়া, ম্যারিকো বাংলাদেশ, এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্যুরেন্স ও অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস। এই ১০ কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে গতকাল ডিএসইএক্স সূচকটি ৫ পয়েন্ট কমেছে।
তবে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এদিন সূচক বেড়েছে। ঢাকার বাজারে আজ ৩৯৭ প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১৫টির, কমেছে ৩৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৬টির দাম।