বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এ শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। সিনেমটিতে অভিনয়ের কিছুদিন পর এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন— “আমাদের প্রত্যেকটা বাঙালি মেয়ের মধ্যে একজন করে হাসিনা রয়েছেন।”
গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফারিয়ার পুরোনো এই মন্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সমালোচনা শুরু হয়, তোপের মুখে পড়েন ফারিয়া। এতদিন চুপ থাকলেও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন এই নায়িকা।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অতিথি হিসিবে উপস্থিত হন নুসরাত ফারিয়া। এ আলাপচারিতায় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়― শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয়ের কারণে অনুশোচনায় ভোগেন কিনা? উত্তরে ফারিয়া বলেন, “আমি বলতে চাই, এখানে অনুশোচনার মতো কিছু নেই। আমরা শিল্পীরা ভোর সাড়ে ৫টায় ঘুম থেকে উঠে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করি। এর পেছনে অনেক শারীরিক পরিশ্রম হয়। বিশেষ করে এই সিনেমার জন্য ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল, এই পাঁচ বছর একই লুকে নিজেকে মেইনটেইন করেছি।”
আরো পড়ুন:
সুশান্তর মৃত্যু: নতুন প্রতিবেদনে রিয়ার স্বস্তি
রাকেশ পান্ডে মারা গেছেন
ব্যাখ্যা করে নুসরাত ফারিয়া বলেন, “এই দীর্ঘ সময় চুলে কোনো রং করিনি, কালো চুল নিয়ে ঘুরেছি চরিত্রটির জন্য। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ শারীরিক ওজনের মধ্যে থাকতে হয়েছে। আমি বলতে চাই, এই সিনেমার (মুজিব: একটি জাতির রূপকার) জন্য জীবনের ৫টি বছর দিয়েছি। এ কারণে সেই কাজটি নিয়ে যদি এখন অনুশোচনা করি, তাহলে তো আমার পেশাকেই অপমান করা হবে।”
শেখ মুজিবের বায়োপিকে অভিনয় করার কারণে বিরূপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এই ইঙ্গিত দিয়ে নুসরাত ফারিয়া বলেন, “সিনেমাটির জন্য যে পরিস্থিতি আমি পার করেছি বা এখনো করছি, তা আমার ভাগ্যে লেখা ছিল বলে মনে করি। এটা খণ্ডানোর ক্ষমতা ছিল না আমার। একটি দেশের সরকারি পর্যায় থেকে কখনো কাজের প্রস্তাব আসলে, তা নিজের খুব একটা পছন্দ না হলেও না করা যায় না।”
ছাত্র আন্দোলনে তার ভূমিকা জানতে চাওয়া হলে নুসরাত ফারিয়া বলেন, “আমি তখন কানাডায় কিছু শো করতে গিয়েছিলাম। ভুল সবসময়ই ভুল। আমার কাছে মনে হয়েছে, তখন ছাত্রদের পক্ষে পোস্ট করেছি। আমার সোশ্যাল মিডিয়া ঘুরলে সেটি দেখতে পাবেন।”
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে নুসরাত ফারিয়া অভিনীত ‘জ্বীন-৩’ সিনেমা। ইতোমধ্যে সিনেমাটির ‘কন্যা’ গান প্রকাশিত হয়েছে। যা দর্শক-শ্রোতা থেকে শোবিজ তারকাসহ সর্বত্র ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মহানগর বিএনপি সবসময়ই হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আছে : সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ধর্মীয় সংস্কৃতির লীলাভূমি হল বাংলাদেশ। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আমরা নিজ নিজ ধর্ম খুব সুন্দর ভাবে পাল করে আসছি।
কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী ধর্মীয় সম্পদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতো। এ ধরনের লোক কিন্তু বাংলাদেশের অভাব নাই।
বাংলাদেশের ৯৯% মানুষ কিন্তু ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের প্রতি কিন্তু শ্রদ্ধাবোধ আছে। একজন ভালো মানুষ কখনো অন্য ধর্ম মানুষের প্রতি খারাপ আচরণ করতে পারে না। আর আমি কখনো দেখিনি কোন হিন্দু ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি খারাপ আচরণ করে।
বাংলাদেশের মুসলমান সংখ্যা ঘনিষ্ঠ বেশি এরপরে দ্বিতীয় স্থানে কিন্তু রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়। এর পরে রয়েছে বৌদ্ধ খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকজন। আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতির মাধ্যমে থাকতে চাই।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটির বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। শুক্রবার ( ১ আগস্ট)। সকাল এগারোটায় শহরের চাষাড়া বালুরমাঠস্থ রূপসী বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে এই সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে বলেছেন আমরা যেনো হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকি। তাদের সকল অনুষ্ঠানে আমাদের কে সংশ্লিষ্টতা থাকার জন্য। আর আমাদের সংশ্লিষ্টতা যাতে আপনাদের কোন সমস্যা না হয়। আপনাদের যেকোনো সমস্যা হলোআমাদেরকে অতিবাহিত করবেন।
মহানগর বিএনপি সবসময়ই আপনাদের পাশে আছে। নারায়ণগঞ্জে দূর্গা পূজা থেকে শুরু করে সকল ধর্মীয় উৎসবে মহানগর বিএনপির আপনাদের পাশে থাকবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এদেশের জনগণের দল। বিএনপি দেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের দল। বিএনপির সবাই করতে পারবে। কারণ বিএনপি দলের মধ্যে ধর্মীয় কোন বিষয় না। যার যার ধর্ম সে পালন করবে সেটাকে বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা করবে।
আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছে বিএনপি সদস্য শুধু যে মুসলমান হবে তাই না হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই এই দলের সদস্য হতে পারবে। আমাদের নতুন সদস্য কার্যক্রম চলছে। আপনারা চাইলে আমাদের এই দলের সদস্য হতে পারবেন। কিন্তু যারা অন্য দলে রয়েছে এবং খারাপ প্রকৃতির লোক পারবেন না এটা আমাদের কেন কেন্দ্রীয় নির্দেশনা। এছাড়া সবাই এই দলের সদস্য হতে পারবেন।
বাংনারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শংকর কুমার দে'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা শ্রী প্রবীর কুমার সাহা, সাবেক ট্রাস্টি হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট শ্রী পরিতোষ কান্তি সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা বাসু দেব চক্রবর্তী, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী পূর্ণ স্নান উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী তাপস কর্মকার। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণপদক সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার দাস। এছাড়াও জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।