বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেছেন, “সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দেন। বাংলাদেশ জিয়া পরিবারের জন্য অপেক্ষা করছে। কখন খালেদা জিয়া দেশে আসবেন, কখন তারেক রহমান বাংলাদেশ ফিরে আসবেন। তারেক রহমান এসে দেশের দায়িত্বভার বুঝে নিবেন।”

সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ইফতার, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জয়নুল আবেদীন বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। আল্লাহর রহমতে নির্বাচনে জয়লাভ করে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিচারকদের ওপর কোন চাপ প্রয়োগ করবে না।”

আরো পড়ুন:

মাদারীপুরে শ্রমিক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

আগামী ১০ বছর জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে: নূর

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, “দেশের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। যে দেশের বিচার ব্যবস্থা যত শক্তিশালী, সেই দেশের গণতন্ত্র তত শক্তিশালী। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তারেক রহমানের মামলার বিচার মোমবাতি জ্বালিয়ে হয়েছে। বিচারের নামে প্রহসন হয়েছিল। আমরা দিনের বিচার রাতে দেখতে চাই না।”

তিনি বলেন, “বিচার বিভাগের মেরুদণ্ড শুধুমাত্র সোজায় নয়, শক্তিশালী হিসেবে দেখতে চাই। যখন বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করবে তখন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা স্বাধীন, সার্বভৌম ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ দেখতে চাই।”

অনুষ্ঠানে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভেকেট মো.

খোরশেদ মিয়া আলমের সভাপতিত্বে ঢাকার জেলা দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন, ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরে আলম ভূইয়া, ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এছাড়া ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাভডোকেট সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিভিন্ন আদালতের বিচারক, আইনজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/মামুন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।

প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।

যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।

এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।

পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।

অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।

একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
  • দণ্ডাদেশ বহালের রায়ের বিরুদ্ধে ১০ আসামির আপিল ও লিভ টু আপিল
  • যে ‘ধর্মীয় অনুপ্রেরণায়’ ইরানে এই হামলা চালাল ইসরায়েল
  • দক্ষিণ ভারতের নিষ্পেষিত মুসলিম নারীদের কণ্ঠস্বর
  • সুবিচার মিলবে কত বছরে
  • ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা অমিত
  • রেফারেন্স ও মতামতপ্রক্রিয়া নিয়ে রিট খারিজ, আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন