প্রধান উপদেষ্টা বরাবর রাবি অধ্যাপকের খোলা চিঠি
Published: 24th, March 2025 GMT
বাংলাদেশি গবেষক ও বিজ্ঞানীদের জন্য বৈশ্বিক স্কলারশিপ ও ফেলোশিপের সুযোগ বৃদ্ধিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি লিখেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক মোহা. ইয়ামিন হোসেন। তিনি রাবির ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক।
পাশাপাশি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জৈবপ্রযুক্তি, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, ব্লু ইকোনমি এবং সামাজিক উদ্যোক্তাবৃত্তির মতো অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রে যৌথ ফেলোশিপের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৪ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
অর্কিড কাঞ্চনে সেজেছে রাবি
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ রাবি শিক্ষার্থীদের
অধ্যাপক ড. মোহা. ইয়ামিন হোসেন চিঠিতে বলেন, “মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার, আপনাকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং সর্বোচ্চ সম্মান। আপনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, মানবিক দর্শন এবং বৈশ্বিক সংযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা, গবেষণা ও যুবশক্তির উন্নয়নে আপনি যে অবদান রেখে চলেছেন, তা সমগ্র জাতিকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের বিজ্ঞানী, গবেষক ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আপনার অবিরাম সমর্থন আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।”
তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, “আপনি সমগ্র বিশ্বের রাষ্ট্রনায়ক, নীতিনির্ধারক, বিজ্ঞানী এবং শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যে সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন, তার মাধ্যমে বাংলাদেশের মেধাবী তরুণদের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্কলারশিপ ও ফেলোশিপের সুযোগ বৃদ্ধিতে একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখতে পারেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি। বর্তমানে দেশের অসংখ্য মেধাবী তরুণ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পেলে বিশ্বজুড়ে উদ্ভাবনী অবদান রাখতে সক্ষম হবেন, যা বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরের পথে এগিয়ে নেবে।”
প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনি যেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ফাউন্ডেশনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশি তরুণদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করতে উৎসাহিত করেন। এর পাশাপাশি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জৈবপ্রযুক্তি, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, ব্লু ইকোনমি এবং সামাজিক উদ্যোক্তা বৃত্তির মতো অগ্রাধিকারী ক্ষেত্রে যৌথ ফেলোশিপের ব্যবস্থা করলে আমাদের তরুণরা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারবেন।”
অধ্যাপক ইয়ামিন হোসেন আশা প্রকাশ করে বলেন, “আপনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশি মেধাবীরা বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানে কাজ ও গবেষণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে এবং দেশে ফিরে এসে জ্ঞানভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রোল মডেল হয়ে উঠবেন। এভাবেই বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট নেশন’-এ পরিণত করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আমরা এগিয়ে যাব। আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আপনার সহযোগিতা ও নেতৃত্বে আমরা বিশ্বাস রাখি।”
রাবির এ অধ্যাপক গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে নীতিগত উন্নয়নের পক্ষে বরাবরই সরব। বিশেষ করে তরুণ গবেষকদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি নিয়মিত মতামত প্রকাশ করে থাকেন। একাধিক আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে গবেষক হিসেবে তার নাম স্থান পেয়েছে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জন য আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার
শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী