বিস্ফোরক আইনের মামলায় নওগাঁয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
Published: 25th, March 2025 GMT
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু খালেদ ওরফে বুলুকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার ভান্ডারপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বদলগাছী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় আবু খালেদ এজাহারভুক্ত আসামি। মামলা হওয়ার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার ভান্ডারপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই মামলায় আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার গোবরচাঁপা হাট এলাকায় গোবরচাঁপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন বেলাল হোসেন নামে বিএনপির এক নেতা বাদী হয়ে থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৪০ জন নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৮০–১০০ জনকে আসামি করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় স্কুলছাত্র হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় স্কুলছাত্রকে অপহরণ ও হত্যার মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–২–এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন বদলগাছী উপজেলার খাদাইল গ্রামের মিশু মণ্ডল (২৫) ও পিংকি আক্তার (৩৪)। ১০ বছর কারাদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন পূর্ব খাদাইল গ্রামের হুজাইফা ও সাজু আহম্মেদ। ঘটনার সময় তাঁদের বয়স ছিল ১৪ বছর। বর্তমানে তাঁরা ১৮ বছরের বেশি বয়সী। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত চারজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নিহত স্কুলছাত্র নাজমুল হোসেনের বয়স ছিল ১৪ বছর। আসামি পিংকি ছদ্মনামে নাজমুলের সঙ্গে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর বিকেলে ফোনে ডেকে নাজমুলকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার কেসের মোড়ে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছালে মিশু, পিংকি, হুজাইফা ও সাজু মিলে নাজমুলকে একটি বাড়িতে আটকে রাখেন। পরদিন মুঠোফোনে নাজমুলের বাবার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না পেয়ে তাঁরা নাজমুলকে হত্যা করেন। নাজমুলের মরদেহ গোপন করতে মিশু প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে আক্কেলপুর রেলগেটের উত্তর পাশে একটি ডোবার মধ্যে ফেলে দেন। ঘটনার চার দিন পর সেখান থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নাজমুলের বাবা আল আমিন হোসেন ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর বদলগাছী থানায় এ ঘটনায় মামলা করেন। মামলায় মিশু মণ্ডল, তাঁর বাবা আজমল মণ্ডল, একই গ্রামের রিনা পারভীন ও সোহাগ হোসেনের নাম উল্লেখ করে আরও ছয় থেকে সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে মিশু, পিংকি, হুজাইফা ও সাজুকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ৮ জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। চার আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলায় ২০ সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। অভিযুক্ত দুই কিশোরের বয়স বর্তমানে ১৮ বছরের বেশি হওয়ায় তাঁদেরও নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।