গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আগুনে তিনটি ঝুট গুদাম পুড়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ইফতেখার রায়হান চৌধুরী জানান, চন্দ্রা এলাকায় প্রথমে একটি ঝুট গুদামে আগুন লাগে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর পাঠানো হয়। এ সময়ের মধ্যে আগুন আশপাশের আরও দুটি গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ও কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে ঝুটসহ তিনটি গুদাম পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঝুট গুদামের শ্রমিক হাবিবুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে গুদামের পাশের আলাদা একটি কক্ষে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ আশপাশের মানুষের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। তাঁর দাবি, গুদামে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল ছিল, সেগুলো সব পুড়ে গেছে।

ইফতেখার রায়হান চৌধুরী জানান, তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধানের পর বিস্তারিত জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ