সম্প্রতি চিত্রনায়িকা বর্ষা ঘোষণা দেন, “ছেলেরা বড় হচ্ছে, বড় হয়ে তারা যদি দেখে, তার মা সিনেমার নায়িকা, তখন কী ভাববে? এসব চিন্তা করেই সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”  বর্ষার এই বক্তব্য নিয়ে শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবার সেই তালিকায়  দেরিতে হলেও যুক্ত হলো চিত্রনায়িকা পরীমনির নাম। এই চিত্রনায়িকা নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক দীর্ঘ পোস্টে বর্ষার নাম উল্লেখ না করেই সমালোচনা করেছেন। একের পর এক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। 

পরীমনি লিখেছেন, ‘‘জি ছোট্ট আপা, একদম ঠিক! সঠিক বলেছেন আপনি।একটা সময় থাকে দেখতে নায়িকা নায়িকা লাগে (আপনার ভাস‍্যমতে) দেখতে সুন্দর লাগে পর্দাতে। ওকে! কিন্তু আপা, আপনার বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে পর্দাতে হিরোইন লাগার কোন ব্যাপারই নেই। কারণ আপনি এটা করার অপচেষ্টা যে করে গেছেন সেটা আজীবনই রয়ে যাবে। জি, আপনি খুবই বাস্তববাদী! আপনি এতই বাস্তববাদী যে আপনার হাতে আটকানো তিনটা সিনেমা শেষ হওয়ার পরেই সিনেমা থেকে সরে যেতে চাইছেন! যদি সত্যি আপনার নিজস্ব কোনো অনুভূতি থেকে এখান থেকে চলে যেতে চান তো এই মুহূর্তেই ছেড়ে দেন আর যদি না ছাড়তে হয় তাহলে আজীবন এটাকে স্বগর্বে সহন করে যান। এই যে আপনি এত যুগ পরে এসে আপনার বাচ্চার দোহাই দিচ্ছেন এটা খুবই খামখেয়ালিপনা! এই যে আপনি বলছেন আপনার বাচ্চাদের কারো দশ বছর হয়ে যাবে কারো সাত বছর হয়ে যাবে।’’ 

পোস্টের এ পর্যায়ে এসে বর্ষাকে একের পর এক প্রশ্ন করে গেছেন পরীমনি। তার প্রশ্নগুলো হলো—‘‘আপা আপনি কি একবারও ভেবেছেন আপনার বয়সে, আপনার ক্যারিয়ারে আপনি কাকে কত বছর ধরে জিম্মি করে রেখেছেন? সেটা একবার ভাবেন তো আপা! কত বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন। আপনার বাচ্চাদের যদি আপনাকে দেখতে নাই ভালো লাগে, 
যে মা নায়িকা হলে তারা তার মাকে গ্রহণ করতে পারবে না লজ্জায়! তাহলে অন্তত এইটুকু গ্যারান্টি দেন যে তারা ভুলতে পারবে।কোনদিন আপনি কোন একজন নায়িকা ছিলেন? কোন একদিন নাচাগানা করেছেন ? কোন একদিন নাভি দেখিয়েছিলেন পর্দায়? কোন একদিন আপনার হাটুর কাপড় উড়ে গিয়েছিল কোন এক ফ্রেমে? কোন একদিন ঠোঁটের কোণে কামড় দিয়েছিলেন ক‍্যামেরার অ্যাকশন এ? যা দেখে শিস বাজিয়েছিলো সিনেমা হলের রিক্সাচালক দর্শক? সেগুলো অন্তত ভুলিয়ে দেন আমাদেরকে। তারপর আপনার বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তা করেন।’’

আরো পড়ুন:

সে যেন দুঃখের কারণ না হয়, ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে পরীমণি

কার বাহুডোরে পরীমণি?

বর্ষার বক্তব্যের এক পর্যায়ে  বলেন, মেয়েদের বাজারে অনন্ত জলিলকে ছেড়ে দিতের তিনি দ্বিধা করেন না। এই ‘মেয়েদের বাজার’ শব্দটি নিয়েও আপত্তি তুলেছেন পরীমনি। তার পোস্টের শেষাংশে লিখেছেন, ‘‘ আর আপনি যে বলেছেন মেয়েদের বাজার! এএএএইইই….

মেয়েদের বাজার কি?কি বোঝাতে চাইলেন কচি আপা? এটা আম, মুলা,আলু, কচু? তাহলে আপনি কি? কি আপনি?কোনটা সোনা? …শোনেন, এরকম একটা বয়সের পরে আমি কেন, আমরা কেন, পৃথিবীর সমস্ত মেয়েরাই(প্রিন্সেস ডায়না হলেও) তার পার্টনারকে এরকম বাজারে ছেড়ে দিতে পারে। কারণ ওই মহিলা জানে জীবনের কোন বয়সে তার জামাইকে যেকোনো জায়গায় ছেড়ে দেওয়া যায়।’’

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপন র ব চ চ ক ন একদ ন ক ন এক কর ছ ন ন আপন

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।

শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন:

নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত 

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”

তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”

বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি  হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”

কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।

অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন