বলিউডের দাপুটে অভিনেতা বোমান ইরানি। অভিনয়ে পা রাখার আগে একটি হোটেলে রুম সার্ভিস বয়ের চাকরি করতেন। সেই পাঁচতারকা হোটেলে অতিথি হলেন বোমান ইরানি। স্মৃতিবিজড়িত হোটেলে দাঁড়িয়ে গল্প শোনাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ‘থ্রি ইডিয়টস’খ্যাত এই তারকা।

বোমান ইরানি তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি বলেন, “অ্যাপোলো বান্দার কোলাবায় অবস্থিত তাজ মহল প্যালেস হোটেলে দাঁড়িয়ে আছি। আইকনিক তাজ হোটেলের গমনাগমনের এই পথটি দেখুন, চমৎকার আর্কিটেক্ট, দেয়ালে পেইন্টিং। ১৯৭৯ সালে এখানে আমি কাজ করেছি। যার কারণে এই জায়গাটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”

‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ তারকা বোমান ইরানি রুমে রুমে খাবার পৌঁছে দিতেন। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “আমি অন্যান্য বিভাগেও কাজ করতাম। তবে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি এই প্যাসেজে। রুম সার্ভিসে কাজ করার সময়ে হেঁটে ওঠানামা করতাম। চা-কফি, খাবার, ড্রিংকস, ফল-ফ্রুটস ঝুড়িতে করে রুমে রুমে নিয়ে যেতাম। এখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি।”

আরো পড়ুন:

আলিয়ার সঙ্গে কেন রোমান্স করতে চান না ইমরান হাশমি?

ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার কবলে সোনু সুদের স্ত্রী

পাঁচতারকা হোটেলে রুম সার্ভিসের চাকরি করলেও অনেক কিছু শিখেছেন। এ তথ্য উল্লেখ করে বোমান ইরানি বলেন, “এটি আমাকে শৃঙ্খলা শিখিয়েছে, এটি আমাকে শিখিয়েছে জীবনে কোনো কিছু সহজে আসে না। আপনাকে আপনার পাওনা পরিশোধ করতে হবে, আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। একটি শোয়ের জন্য আজ এখানে এসেছি। করপোরেট কথাবার্তা শেষ। তারা চমৎকার স্যুট দিয়েছে, তারা আমাদের এখানে রাতের খাবারও খাওয়াবেন। এখানে ফিরে এসে খুব ভালো লাগছে।”

ভিডিওর শেষের দিকে কথা বলতে বলতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বোমান ইরানি। তবু মুখে হাসি রেখেই এই অভিনেতা বলেন, “আমি আজ গর্বিত। কারণ আমার জীবনের সাইকেল পূর্ণ হয়েছে। আমি অভিভূত।”

বোমান ইরানির ছোটবেলা এমন জৌলুশে ভরা ছিল না। বাবাকে কাছে না পাওয়ায় অনেক ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল। স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর বোমান ইরানি এই হোটেলে চাকরি নেন।

তাজ হোটেলের রুম সার্ভিসের চাকরি ছেড়ে মায়ের সঙ্গে পৈতৃক বেকারি পরিচালনায় নামেন বোমান। মঞ্চনাটক দিয়ে তার অভিনয়জীবন শুরু হয়। তার আগে ফটোগ্রাফির দিকে ঝুঁকেছিলেন। অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার আগ পর্যন্ত ছবি তোলার কাজ করতেন বোমান।

তথ্যসূত্র: লাইভ মিন্ট

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আজ প্রথম প্রেম দিবস

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম প্রেম পূর্ণতা পায় না। কিন্তু প্রথম প্রেমের মিষ্টিমধুর সময়টা মনে গেঁথে থাকে। কখনও কবিতায়, কখনও গানে সেই প্রেমের স্মৃতি ফিরে পায় মানুষ। আজ প্রথম প্রেম দিবস। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রেম দিবস। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটি পালন করা হয়।এরপর থেকে প্রতিবছরই উদ্‌যাপিত হচ্ছে দিবসটি।

প্রথম প্রেম মানুষ ভোলে না কেন? 
মানুষ প্রথম প্রেমে পড়ে কৈশোর কিংবা প্রথম তারুণ্যে। এ সময়  শরীরে হ্যাপি হরমোনের প্রভাব থাকে প্রবল। যার ফলে ভালোবাসার মানুষের প্রতি আকর্ষণ থাকে বেশি। 

আরো পড়ুন:

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস

কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস 

ভালো লাগার মুহূর্তগুলোত মানুষকে সুখের অনুভূতি দেয়। যাকে ভাবলে এই সুখ অনুভূতি হয়, যে কাছে থাকলে নিজেকে পৃথিবীর সেরা সুখী মানুষ মনে হয়-সেই মানুষটিকে কোনো কারণে হারিয়ে ফেললেও ভোলা যায় না। 

আক্ষরিক অর্থে কেউ কাউকে ভালোবাসা শেখায় না, কিন্তু ভালোবাসার উপলক্ষ্য এনে দেয়। ভালোবাসার অনুভূতিগুলো যাকে প্রথম বলা যায়, তাকে তো ভোলার কথা না!

ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ