ময়মনসিংহে চুরির ঘটনায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম সাজিদ মিয়া (২৩)। তিনি নগরীর কাচিঝুলি হামিদ উদ্দিন রোডের আজাদ মিয়ার ছেলে। 

বুধবার রাত পৌনে ১২টায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করা না হলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে নিয়ে গেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

শফিকুল ইসলাম খান।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, শফিক মিয়ার ছেলে মন্টু মিয়া ও নিহত সাজিদ মিয়া একই এলাকার বাসিন্দা। কিছুদিন আগে একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মন্টু মিয়া সাজিদকে সুপারি কাটার শরতা দিয়ে বুকের মধ্যে আঘাত করে। এতে আহত সাজেদ মিয়াকে প্রতিবেশীরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ওসি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে। ঘাতক ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেট এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ। ঘটনার পরপরই তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন।

সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৬টার দিকে ১০-১৫ জনের একটি দল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে এসে সেখানে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। 

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার এবং একজনকে আটক করেছে।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিলিন্ডারবোঝাই ট্রাক উল্টে একের পর এক বিস্ফোরণ

ম্যানহোলের গ্যাস বিস্ফোরণে আহত ৩

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বেলায়েত শেখ বলেন, “স্লোগানের শব্দ শুনে আমি বারান্দায় গিয়ে দেখি ২০-২৫ জন ব্যানার নিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নামে স্লোগান দিচ্ছে। তারা মিছিল শেষে ককটেল বিস্ফোরণ করে তারা দ্রুত সরে পড়ে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, ঘটনার পরই প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেন। প্লাস্টিকের দুটি ব্যাগে মোট সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া গেছে। শেখ মুজিব হলের পকেট গেটে দুটি বিস্ফোরিত হয়। বাকিগুলো মেডিকেল সেন্টার ও এনেক্স ভবন এলাকার দুটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, হাইকোর্ট এলাকা থেকেও একটি বিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া গেছে। এসব ককটেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বোম ডিসপোজাল ইউনিট নিয়ে গেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর জানান, একটি মিছিল বের হওয়ার পর পুলিশ ধাওয়া দিলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবিতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণ