ক্রীড়াঙ্গনে এক পদে দুই মেয়াদের বেশি নয়, এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গত ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন ও সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই ঘোষণা দেন।

তাঁর সেই ঘোষণা বেশিরভাগ ফেডারেশনের ক্ষেত্রেই কার্যকর হয়। বিশেষ করে অনেক বছর ধরে সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন এমন ব্যক্তিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভলিবল থেকে আশিকুর রহমান, হ্যান্ডবল থেকে আসাদুজ্জামান কহিনুর, কুস্তির তাবিউর রহমান পাহলোয়ানকে কমিটিতেই রাখা হয়নি। ব্যতিক্রমীভাবে ভারোত্তোলনের সহসভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদকে করা হয় ওই ফেডারেশনের সভাপতি। স্কোয়াশের সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রাখা হয় কামরুল ইসলামকে। এবার বাংলাদেশের আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রাখা হলো কাজী রাজীব উদ্দীন চপলকে। রাতে বাড়িতে আগুন লাগার পরের দিন এই সুখবর পেলেন রাজীব উদ্দীন।

আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব মো.

আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ভিন্ন ভিন্ন প্রজ্ঞাপনে তিনটি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে আর্চারিও আছে। তবে খো খো সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাবুল ও বেসবল সফট বলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে অ্যাডহক কমিটির কোনো পদেই রাখা হয়নি।

হয়তো সরকার ভেবেছে আমি ভালো কাজ করে এসেছি। তাই দায়িত্বটা আবার দিয়েছে। আগামী নভেম্বরে ঢাকায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ হবে। অনেক অলিম্পিক জয়ী আসার কথা, ৩০টির বেশি দেশ অংশ নিতে পারে। সম্ভবত সরকার চায়নি এসব আয়োজনে বিঘ্ন হোক। তাই আমাকে রেখে দিয়েছে। আস্থা রাখায় আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।কাজী রাজীব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন

বাংলাদেশ আর্চারির প্রতিষ্ঠা কাজী রাজীবের হাত ধরেই। ২০০২ সালে শুরু থেকেই তিনি এর সাধারণ সম্পাদক। ২০০৬ সালে সরকারের স্বীকৃতি পায় আর্চারি। ২৩ বছর ধরে টানা সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা কাজী রাজীবকে আবারও দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে তাঁর সাফল্যকেই দেখা হয়েছে। বাংলাদেশের আর্চারি আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের যেভাবে চিনিয়েছে, এর নেপথ্যে কাজী রাজীবের ভূমিকা অনেক বড়।

বাংলাদেশের আর্চারিকে বিশ্ব মঞ্চে পরিচয় করিয়ে দিতে রাজীব উদ্দিনের বিশাল অবদান

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর চ র

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার

শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ