নাম নিয়ে বিড়ম্বনার গল্প খুঁজলে অনেক পাওয়া যাবে। নামের মিলের কারণে একজনের সাজা অন্যের ভোগ করার খবরও হুটহাট সংবাদমাধ্যমগুলোয় চোখে পড়ে। তেমনই নাম নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে সম্ভবত বিড়ম্বনার ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে রাফিনিয়া নামের লোকদের। তাঁদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রাফিনিয়া।

এই রাফিনিয়া এক সময় কোরিতিবা এবং ক্রুজেইরো ক্লাবের খেললেও, সাম্প্রতিক সময়ে কোনো কিছু নিয়েই আলোচনায় ছিলেন না। কিন্তু কিছু না করেও কয়েক দিন ধরে সমানে গালি শুনতে হচ্ছে তাঁকে। পাচ্ছেন অশ্লীল ও অপমানজনক বার্তাও। এসব অবশ্য তাঁর নিজের কোনো কাজের জন্য, বরং নামের মিলের কারণে এভাবে অপদস্ত হতে হচ্ছে রাফিনিয়াকে।  

আসল ঘটনার শুরু ব্রাজিল জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড রাফিনিয়াকে ঘিরে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগে বার্সেলোনা তারকা রাফিনিয়া বলেছিলেন, ‘আমরা ওদের গুঁড়িয়ে দেব। কোনো সন্দেহ নেই। একদম গুঁড়িয়ে দেব মাঠের ভেতরে, দরকার পড়লে মাঠের বাইরেও।’

আরও পড়ুনরাফিনিয়া ‘বিড়ালছানা’, ভিনি ‘ট্রায়াথলেট’ ও রদ্রিগো ‘ভিটামিন সি খেলোয়াড়’২১ ঘণ্টা আগে

কিন্তু মাঠের বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। ম্যাচে ব্রাজিল হারে ৪–১ গোলে আর রাফিনিয়াও তেমন ভালো খেলেননি। এ ম্যাচের পর মাঠে ও মাঠের বাইরে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপর শুরু হয় আর্জেন্টাইন সমর্থকদেরও কটু কথার বর্ষণ। যার কিছু এসে পরেছে একই নামের সাবেক ফুটবলার রাফিনিয়ার ওপর।

গালি শুনতে থাকা অন্য রাফিনিয়া.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।

‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।

সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।

এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ