আর্জেন্টাইদের কাছে গালি শুনছেন অন্য এক রাফিনিয়াও
Published: 28th, March 2025 GMT
নাম নিয়ে বিড়ম্বনার গল্প খুঁজলে অনেক পাওয়া যাবে। নামের মিলের কারণে একজনের সাজা অন্যের ভোগ করার খবরও হুটহাট সংবাদমাধ্যমগুলোয় চোখে পড়ে। তেমনই নাম নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে সম্ভবত বিড়ম্বনার ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে রাফিনিয়া নামের লোকদের। তাঁদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রাফিনিয়া।
এই রাফিনিয়া এক সময় কোরিতিবা এবং ক্রুজেইরো ক্লাবের খেললেও, সাম্প্রতিক সময়ে কোনো কিছু নিয়েই আলোচনায় ছিলেন না। কিন্তু কিছু না করেও কয়েক দিন ধরে সমানে গালি শুনতে হচ্ছে তাঁকে। পাচ্ছেন অশ্লীল ও অপমানজনক বার্তাও। এসব অবশ্য তাঁর নিজের কোনো কাজের জন্য, বরং নামের মিলের কারণে এভাবে অপদস্ত হতে হচ্ছে রাফিনিয়াকে।
আসল ঘটনার শুরু ব্রাজিল জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড রাফিনিয়াকে ঘিরে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগে বার্সেলোনা তারকা রাফিনিয়া বলেছিলেন, ‘আমরা ওদের গুঁড়িয়ে দেব। কোনো সন্দেহ নেই। একদম গুঁড়িয়ে দেব মাঠের ভেতরে, দরকার পড়লে মাঠের বাইরেও।’
আরও পড়ুনরাফিনিয়া ‘বিড়ালছানা’, ভিনি ‘ট্রায়াথলেট’ ও রদ্রিগো ‘ভিটামিন সি খেলোয়াড়’২১ ঘণ্টা আগেকিন্তু মাঠের বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। ম্যাচে ব্রাজিল হারে ৪–১ গোলে আর রাফিনিয়াও তেমন ভালো খেলেননি। এ ম্যাচের পর মাঠে ও মাঠের বাইরে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপর শুরু হয় আর্জেন্টাইন সমর্থকদেরও কটু কথার বর্ষণ। যার কিছু এসে পরেছে একই নামের সাবেক ফুটবলার রাফিনিয়ার ওপর।
গালি শুনতে থাকা অন্য রাফিনিয়া.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতাকে মারধর, খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।