Samakal:
2025-08-02@07:15:29 GMT

ছড়া কবিতা

Published: 28th, March 2025 GMT

ছড়া কবিতা

হা সা ন  হা ফি জ  
চলো চলো

আয় ছড়া আয় না
কিনে দেব আয়না।
তাতে মুখ দেখবি
    সাজুগুজু করবি।
চুলে ফিতে বাঁধবি
তারপর চড়িভাতি 
মাছ গোশ রাঁধবি,
    অতিথি না আসে যদি
    কষে ঠিকই ধরবি। 

আয় ছড়া আয় রে
পাল তোলা নায় রে
    দূর দেশে ভেসে যাবো
    বেড়াতে কী মজা পাবো,
আনো নাও নাইয়া 
ধেয়ে চলো ধাইয়া 
পুবাকাশ কালো করে 
     মেঘ আসে ছাইয়া
হাঁ করে কী দেখো তুমি
    দূরাকাশে চাইয়া 
চলো চলো শিগগির 
    লগি দাঁড় বাইয়া। 

 

শা হ রি য়া র  শা হা দা ত  
চাঁদ খোঁজাদের দলে

খুশির আমেজ নিয়ে যে চাঁদ তারার দেশে হাঁটে
সে চাঁদ দেখার আশায় আমার বছরটা যে কাটে। 
বলতে পারো চাঁদটা কেমন? কখন দেখা মেলে? 
ঠিক বলেছ, বাঁকা সে চাঁদ ঈদের সিজন এলে। 

আকাশ দেখে চাঁদ খুঁজেছ, পশ্চিমে না পুবে? 
কেউ বলে চাঁদ ফেসবুকে আর কেউ বলে ইউটুবে!
যে যা-ই বলুক ওসব কথায় কান দিও না, আরে
বিজ্ঞানীদের টিম যাবে না চাঁদটাকে উদ্ধারে। 

আমার মতো তোমারও কি চাঁদ খোঁজাদের দলে
ঈদের প্লানিং করছো বুঝি নানান কৌতূহলে? 
নতুন ঈদের নতুন চাঁদের একটু দেখা পেতে
মেঘের সিঁড়ি পার হয়ে ঠিক চাঁদবাড়ি চাও যেতে?

চাঁদকে পেলে বলবে, মামা তোমার সাথে আড়ি
ঈদের চমক দিয়ে হারাও কেমন বাড়াবাড়ি?
স্পেশাল তুমি ও চাঁদ মামা অন্য চাঁদের চেয়ে
ঈদ যখনি নকিং দ্যা ডোর খুশি তোমায় পেয়ে।

 

রো মে ন  রা য় হা ন 
আছি বড় দুঃখে

বনরুই, মানে হলো 
পিপীলিকাভুককে
বাড়িতে জায়গা দিয়ে 
আছি বড় দুঃখে!

ওরা খাবে পিপীলিকা
বইয়ে তো এটাই লিখা!

খেতে দিলে কালো করে
রাখে বলে মুখকে
বলেছি, কাচ্চি রাঁধো!
কিচেনের কুককে!

 

শে খ  সা লা হ্ উ দ্দী ন    
হয় না বলা

অই যে দূরের জীর্ণ বস্তিটাতে
থাকি আমি আমার মায়ের সাথে। 
আমার বাবা চালাতো ভ্যানগাড়ি
দুর্ঘটনা ঘটলো সেবার ভারি
আর তাতেই মরলো বাবা, বছর সাতেক হবে–   
আমার তখন দেড় দু’বছর সবে।
সেই থেকেই অভাব আছে ঘিরে
কেউ আমাদের দিকে চায় না ফিরে।

ঈদের দিনে তোমার মনে নাচে কতো খুশি
আমার মনে আনন্দ নাই, কষ্ট শুধু পুষি।  

আমরা ভীষণ কষ্টেসৃষ্টে দিন আনি দিন খাই  
কাল সকালে কী যে খাব তারও জোগাড় নাই।  
তোমার ঘরে রান্নাবান্না হয়েছে আজ মেলা
কিছুটা তার তোমরা খাবে, অনেক যাবে ফেলা।  
আচ্ছা, আমায় খেতে যদি ডাকো তোমার সাথে
খোয়া যাবে সম্মান তোমার, ক্ষতি হবে তাতে?       

ঈদে তুমি অনেক নতুন জামা ও প্যান্ট পেলে
পরবে ক’টা! দুয়েকটা তো রাখবে ঠিকই ফেলে।    
আচ্ছা, যেটা তোমার কাছে সবচেয়ে কম প্রিয়  
ইচ্ছে হলে ওটাই নাহয় ঈদে আমায় দিও।  

এসব কথা বলতে চেয়েও হয় না তোমায় বলা
লজ্জা লাগে, বলতে গেলেই বুজে আসে গলা!

 

পি য়া ন  চ ক্র ব র্ত্তী 
কানের রিং

চাঁদ উঠেছে ঈদ এসেছে   
দিদির কানে চাঁদের মতো রিং   
অই আকাশে দুলতে থাকা
চাঁদটাই আজ কিং! 
ফুল বাগানে ফুল ফুটছে    
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে বলে    
মাহিন, ফাহিম, ফাতিনরা যে
এক হয়েছে দলে।   

চাঁদটা যেন কুমড়া ফালি    
ওটা দিয়ে মা বানাবে   
নানারকম পিঠেপুলি
সবার মনে খুশির ডালি।
করছে সবাই বলাবলি 
সবাই সবার বন্ধু আজ   
নেই যে কোনো দলাদলি
এটাই তো ঈদের কাজ!

বয়স : ৩+৩+৪ বছর; চতুর্থ শ্রেণি, শিবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ