Samakal:
2025-06-16@17:12:56 GMT

ছড়া কবিতা

Published: 28th, March 2025 GMT

ছড়া কবিতা

হা সা ন  হা ফি জ  
চলো চলো

আয় ছড়া আয় না
কিনে দেব আয়না।
তাতে মুখ দেখবি
    সাজুগুজু করবি।
চুলে ফিতে বাঁধবি
তারপর চড়িভাতি 
মাছ গোশ রাঁধবি,
    অতিথি না আসে যদি
    কষে ঠিকই ধরবি। 

আয় ছড়া আয় রে
পাল তোলা নায় রে
    দূর দেশে ভেসে যাবো
    বেড়াতে কী মজা পাবো,
আনো নাও নাইয়া 
ধেয়ে চলো ধাইয়া 
পুবাকাশ কালো করে 
     মেঘ আসে ছাইয়া
হাঁ করে কী দেখো তুমি
    দূরাকাশে চাইয়া 
চলো চলো শিগগির 
    লগি দাঁড় বাইয়া। 

 

শা হ রি য়া র  শা হা দা ত  
চাঁদ খোঁজাদের দলে

খুশির আমেজ নিয়ে যে চাঁদ তারার দেশে হাঁটে
সে চাঁদ দেখার আশায় আমার বছরটা যে কাটে। 
বলতে পারো চাঁদটা কেমন? কখন দেখা মেলে? 
ঠিক বলেছ, বাঁকা সে চাঁদ ঈদের সিজন এলে। 

আকাশ দেখে চাঁদ খুঁজেছ, পশ্চিমে না পুবে? 
কেউ বলে চাঁদ ফেসবুকে আর কেউ বলে ইউটুবে!
যে যা-ই বলুক ওসব কথায় কান দিও না, আরে
বিজ্ঞানীদের টিম যাবে না চাঁদটাকে উদ্ধারে। 

আমার মতো তোমারও কি চাঁদ খোঁজাদের দলে
ঈদের প্লানিং করছো বুঝি নানান কৌতূহলে? 
নতুন ঈদের নতুন চাঁদের একটু দেখা পেতে
মেঘের সিঁড়ি পার হয়ে ঠিক চাঁদবাড়ি চাও যেতে?

চাঁদকে পেলে বলবে, মামা তোমার সাথে আড়ি
ঈদের চমক দিয়ে হারাও কেমন বাড়াবাড়ি?
স্পেশাল তুমি ও চাঁদ মামা অন্য চাঁদের চেয়ে
ঈদ যখনি নকিং দ্যা ডোর খুশি তোমায় পেয়ে।

 

রো মে ন  রা য় হা ন 
আছি বড় দুঃখে

বনরুই, মানে হলো 
পিপীলিকাভুককে
বাড়িতে জায়গা দিয়ে 
আছি বড় দুঃখে!

ওরা খাবে পিপীলিকা
বইয়ে তো এটাই লিখা!

খেতে দিলে কালো করে
রাখে বলে মুখকে
বলেছি, কাচ্চি রাঁধো!
কিচেনের কুককে!

 

শে খ  সা লা হ্ উ দ্দী ন    
হয় না বলা

অই যে দূরের জীর্ণ বস্তিটাতে
থাকি আমি আমার মায়ের সাথে। 
আমার বাবা চালাতো ভ্যানগাড়ি
দুর্ঘটনা ঘটলো সেবার ভারি
আর তাতেই মরলো বাবা, বছর সাতেক হবে–   
আমার তখন দেড় দু’বছর সবে।
সেই থেকেই অভাব আছে ঘিরে
কেউ আমাদের দিকে চায় না ফিরে।

ঈদের দিনে তোমার মনে নাচে কতো খুশি
আমার মনে আনন্দ নাই, কষ্ট শুধু পুষি।  

আমরা ভীষণ কষ্টেসৃষ্টে দিন আনি দিন খাই  
কাল সকালে কী যে খাব তারও জোগাড় নাই।  
তোমার ঘরে রান্নাবান্না হয়েছে আজ মেলা
কিছুটা তার তোমরা খাবে, অনেক যাবে ফেলা।  
আচ্ছা, আমায় খেতে যদি ডাকো তোমার সাথে
খোয়া যাবে সম্মান তোমার, ক্ষতি হবে তাতে?       

ঈদে তুমি অনেক নতুন জামা ও প্যান্ট পেলে
পরবে ক’টা! দুয়েকটা তো রাখবে ঠিকই ফেলে।    
আচ্ছা, যেটা তোমার কাছে সবচেয়ে কম প্রিয়  
ইচ্ছে হলে ওটাই নাহয় ঈদে আমায় দিও।  

এসব কথা বলতে চেয়েও হয় না তোমায় বলা
লজ্জা লাগে, বলতে গেলেই বুজে আসে গলা!

 

পি য়া ন  চ ক্র ব র্ত্তী 
কানের রিং

চাঁদ উঠেছে ঈদ এসেছে   
দিদির কানে চাঁদের মতো রিং   
অই আকাশে দুলতে থাকা
চাঁদটাই আজ কিং! 
ফুল বাগানে ফুল ফুটছে    
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে বলে    
মাহিন, ফাহিম, ফাতিনরা যে
এক হয়েছে দলে।   

চাঁদটা যেন কুমড়া ফালি    
ওটা দিয়ে মা বানাবে   
নানারকম পিঠেপুলি
সবার মনে খুশির ডালি।
করছে সবাই বলাবলি 
সবাই সবার বন্ধু আজ   
নেই যে কোনো দলাদলি
এটাই তো ঈদের কাজ!

বয়স : ৩+৩+৪ বছর; চতুর্থ শ্রেণি, শিবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমল ৭৫ পয়সা

রাজশাহীতে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার আলুচাষি, ব্যবসায়ী ও হিমাগারমালিকদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিমাগারে প্রতি কেজি আলু রাখার জন্য ভাড়া দিতে হবে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে শ্রমিকের খরচ ৫০ পয়সা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমেছে ৭৫ পয়সা।

এর আগে গত মার্চে সরকার প্রতি কেজি আলু রাখার ভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পর থেকে এ নিয়ে রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বাড়তি ভাড়ায় আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দফা তাঁরা রাজপথে আন্দোলনও করেছেন। অন্যদিকে হিমাগারমালিকদের দাবি ছিল, প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ৮ টাকা করা হোক।

রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলুচাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীতে হিমাগার থেকে বাড়তি ভাড়া না দিলে আলু ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে ঈদের পর নতুন করে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের দাবি, আলু রাখার খরচ আগের বছরের মতো চার টাকা করতে হবে। এ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। হিমাগার মালিকপক্ষ এ নিয়ে আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়ে আসছিল।

এরই মধ্যে আলুচাষিনেতারা ১৪ জুন সেনাবাহিনীর কাছে এ নিয়ে একটি অভিযোগ দেন। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আজ দুপুরে সভা ডাকা হয়। সভায় সব পক্ষের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে এ বছর সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সার বদলে ৫ টাকা ৫০ পয়সা ও শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা রাখা হবে। আর পেইড বুকিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে আলু রাখা চাষি ও ব্যবসায়ীদের। পরে বিকেলে ক্যান্টনমেন্টে হওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিকভাবে পাস করার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সভা হয়।

সভায় আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, হিমাগার মালিক সমিতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচার করা হবে।

এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এবার আলুর দাম কম। আবার এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘাতের আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে একটি অভিযোগ পান তাঁরা। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে সভা হয়। সভায় সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত বিকেলে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আরেকটি সভার মাধ্যমে পাস হয়েছে।

রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠু আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাঁরা হিমাগার থেকে আলু নিতে পারছিলেন না। হিমাগারগুলোয় বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছিল। এ নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও অবহিত করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত একটি ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রহমান সিডস স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আবদুল হালিম বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি কেজি আলু রাখতে খরচ পড়বে ৫ টাকা ৫০ পয়সা আর শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা। এ ছাড়া যাঁরা আগে থেকেই টাকা দিয়ে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আলুর কেজিপ্রতি শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত সব হিমাগারমালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হবে।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে হিমাগারে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ১৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ