Samakal:
2025-05-01@14:03:03 GMT

ছড়া কবিতা

Published: 28th, March 2025 GMT

ছড়া কবিতা

হা সা ন  হা ফি জ  
চলো চলো

আয় ছড়া আয় না
কিনে দেব আয়না।
তাতে মুখ দেখবি
    সাজুগুজু করবি।
চুলে ফিতে বাঁধবি
তারপর চড়িভাতি 
মাছ গোশ রাঁধবি,
    অতিথি না আসে যদি
    কষে ঠিকই ধরবি। 

আয় ছড়া আয় রে
পাল তোলা নায় রে
    দূর দেশে ভেসে যাবো
    বেড়াতে কী মজা পাবো,
আনো নাও নাইয়া 
ধেয়ে চলো ধাইয়া 
পুবাকাশ কালো করে 
     মেঘ আসে ছাইয়া
হাঁ করে কী দেখো তুমি
    দূরাকাশে চাইয়া 
চলো চলো শিগগির 
    লগি দাঁড় বাইয়া। 

 

শা হ রি য়া র  শা হা দা ত  
চাঁদ খোঁজাদের দলে

খুশির আমেজ নিয়ে যে চাঁদ তারার দেশে হাঁটে
সে চাঁদ দেখার আশায় আমার বছরটা যে কাটে। 
বলতে পারো চাঁদটা কেমন? কখন দেখা মেলে? 
ঠিক বলেছ, বাঁকা সে চাঁদ ঈদের সিজন এলে। 

আকাশ দেখে চাঁদ খুঁজেছ, পশ্চিমে না পুবে? 
কেউ বলে চাঁদ ফেসবুকে আর কেউ বলে ইউটুবে!
যে যা-ই বলুক ওসব কথায় কান দিও না, আরে
বিজ্ঞানীদের টিম যাবে না চাঁদটাকে উদ্ধারে। 

আমার মতো তোমারও কি চাঁদ খোঁজাদের দলে
ঈদের প্লানিং করছো বুঝি নানান কৌতূহলে? 
নতুন ঈদের নতুন চাঁদের একটু দেখা পেতে
মেঘের সিঁড়ি পার হয়ে ঠিক চাঁদবাড়ি চাও যেতে?

চাঁদকে পেলে বলবে, মামা তোমার সাথে আড়ি
ঈদের চমক দিয়ে হারাও কেমন বাড়াবাড়ি?
স্পেশাল তুমি ও চাঁদ মামা অন্য চাঁদের চেয়ে
ঈদ যখনি নকিং দ্যা ডোর খুশি তোমায় পেয়ে।

 

রো মে ন  রা য় হা ন 
আছি বড় দুঃখে

বনরুই, মানে হলো 
পিপীলিকাভুককে
বাড়িতে জায়গা দিয়ে 
আছি বড় দুঃখে!

ওরা খাবে পিপীলিকা
বইয়ে তো এটাই লিখা!

খেতে দিলে কালো করে
রাখে বলে মুখকে
বলেছি, কাচ্চি রাঁধো!
কিচেনের কুককে!

 

শে খ  সা লা হ্ উ দ্দী ন    
হয় না বলা

অই যে দূরের জীর্ণ বস্তিটাতে
থাকি আমি আমার মায়ের সাথে। 
আমার বাবা চালাতো ভ্যানগাড়ি
দুর্ঘটনা ঘটলো সেবার ভারি
আর তাতেই মরলো বাবা, বছর সাতেক হবে–   
আমার তখন দেড় দু’বছর সবে।
সেই থেকেই অভাব আছে ঘিরে
কেউ আমাদের দিকে চায় না ফিরে।

ঈদের দিনে তোমার মনে নাচে কতো খুশি
আমার মনে আনন্দ নাই, কষ্ট শুধু পুষি।  

আমরা ভীষণ কষ্টেসৃষ্টে দিন আনি দিন খাই  
কাল সকালে কী যে খাব তারও জোগাড় নাই।  
তোমার ঘরে রান্নাবান্না হয়েছে আজ মেলা
কিছুটা তার তোমরা খাবে, অনেক যাবে ফেলা।  
আচ্ছা, আমায় খেতে যদি ডাকো তোমার সাথে
খোয়া যাবে সম্মান তোমার, ক্ষতি হবে তাতে?       

ঈদে তুমি অনেক নতুন জামা ও প্যান্ট পেলে
পরবে ক’টা! দুয়েকটা তো রাখবে ঠিকই ফেলে।    
আচ্ছা, যেটা তোমার কাছে সবচেয়ে কম প্রিয়  
ইচ্ছে হলে ওটাই নাহয় ঈদে আমায় দিও।  

এসব কথা বলতে চেয়েও হয় না তোমায় বলা
লজ্জা লাগে, বলতে গেলেই বুজে আসে গলা!

 

পি য়া ন  চ ক্র ব র্ত্তী 
কানের রিং

চাঁদ উঠেছে ঈদ এসেছে   
দিদির কানে চাঁদের মতো রিং   
অই আকাশে দুলতে থাকা
চাঁদটাই আজ কিং! 
ফুল বাগানে ফুল ফুটছে    
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে বলে    
মাহিন, ফাহিম, ফাতিনরা যে
এক হয়েছে দলে।   

চাঁদটা যেন কুমড়া ফালি    
ওটা দিয়ে মা বানাবে   
নানারকম পিঠেপুলি
সবার মনে খুশির ডালি।
করছে সবাই বলাবলি 
সবাই সবার বন্ধু আজ   
নেই যে কোনো দলাদলি
এটাই তো ঈদের কাজ!

বয়স : ৩+৩+৪ বছর; চতুর্থ শ্রেণি, শিবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জু টেক্সটাইলে এন্ড ডাইং কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কারখানার দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ তিন জন দগ্ধ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, গার্ড কবির হোসেন ও সিনিয়র অফিসার সাইফুল ইসলাম।

কারখানার সুপারভাইজার মিজানুর জানান, নাইট ডিউটি শেষে সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ৫ ছাত্রনেতা

তিনি জানান, কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধ তিনজনকে দ্রুত রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে কারখানার কিছু কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ইউনিট সেখানে যায়। তবে তার আগেই কারখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/অনিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ