প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘বিশ্বশান্তির জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনল্যান্ড দখল করা প্রয়োজন। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ ডেনমার্কের আধা স্বায়ত্তশাসিত এ ভূখণ্ডকে তাঁর দেশের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষাই আরও বাড়িয়ে তুললেন তিনি।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শান্তির বিষয়ে কথা বলছি না। আমরা বিশ্বশান্তির কথা বলছি। আমরা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার কথা বলছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স, তাঁর স্ত্রী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার এক দিনের সফরে গ্রিনল্যান্ডের একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স বলেছেন, তিনি ‘আর্কটিকের নিরাপত্তায় সত্যি আগ্রহী’ এবং যদি যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলের নেতৃত্ব না নেয়, তবে চীন ও রাশিয়ার মতো শক্তিগুলো সেই নেতৃত্ব গ্রহণ করবে।

গ্রিনল্যান্ডে পৌঁছানোর পরপরই সস্ত্রীক ভ্যান্স ওই ঘাঁটিতে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন এবং তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ভ্যান্স বলেন, তিনি ‘আর্কটিকের নিরাপত্তায় সত্যি আগ্রহী’এবং যদি যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলের নেতৃত্ব না নেয়, তবে চীন ও রাশিয়ার মতো শক্তিগুলো সেই নেতৃত্ব গ্রহণ করবে।

আরও পড়ুনগ্রিনল্যান্ড দখলের পরিকল্পনা গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: পুতিন২৭ মার্চ ২০২৫

ভ্যান্স আরও বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ডের জনগণকে নিয়ে আমরা সমালোচনা করছি না। আমার মনে হয়, তাঁরা অসাধারণ মানুষ এবং এখানে তাঁদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের সমালোচনা আসলে ডেনমার্কের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে, যারা গ্রিনল্যান্ডে কম বিনিয়োগ করেছে ও সেখানকার নিরাপত্তায় কম নজর দিয়েছে। এটির অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। আর যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হলো, এটি পরিবর্তন করা।’ এ সময় সেনা কর্মকর্তাদেরও তাঁকে ব্রিফ করার কথা ছিল।

আরও পড়ুনগ্রিনল্যান্ড দখলে নিতে ট্রাম্প কেন এত মরিয়া২৫ মার্চ ২০২৫

ওই সফরে মার্কিন প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইট ও ভ্যান্সের স্ত্রী উষা ভ্যান্স।

আরও পড়ুনট্রাম্প প্রথম নন, ৭৯ বছর আগেও গ্রিনল্যান্ড কিনতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র২৭ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। 

শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ