মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় খাল থেকে একটি কুমির ধরে এনে পিটিয়ে মারা হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা ১টার দিকে কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের নতুন আন্ডারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, কালকিনির পালরদী নদীতে কিছু দিন ধরে একটি কুমির দেখা যাচ্ছিল। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে দেয়। শনিবার (২৯ মার্চ) নতুন আন্ডারচরে নদীর সংযোগ খালে কুমিরটির সন্ধান পাওয়া যায়। পরে এলাকাবাসী ফাঁদ পেতে কুমিরটিকে আটক করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। বিষয়টি জানাজানি হলে অনেকে সেখানে ভিড় জমায়। একপর্যায়ে উৎসুক জনতা কুমিরটিকে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ জানান, কুমির আটকের খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উৎসুক জনতা আগেই প্রাণীটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পরে মৃত কুমিরটি বনবিভাগ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এভাবে বন্য প্রাণী হত্যা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। 

আরো পড়ুন:

‘ঈদ জামাত’ নিয়ে কথা কাটাকাটি, ছুরিকাঘাতে নিহত ১

কুষ্টিয়ায় আবরার হত্যার রায় কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন

ঢাকা/বেলাল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ