ময়মনসিংহে ঈদগাহ মাঠে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
Published: 30th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের পাগলা থানা এলাকায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঈদগাহ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলার ৯নং পাঁচবাগ ইউনিয়নের লামকাইন ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের দিন ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারির আদেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের দিন একাধিক পক্ষ থেকে নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে ঈদগাহ মাঠে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে আইন শৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমূহ সম্ভাবনা থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা বলে ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। সময় কোনো প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র বহন, প্রদর্শন, লাঠি বা অন্য কোনো দেশীয় অস্ত্র বহন, আতশবাজি, পটকা ও মাইকিং করা যাবে না।
ইউএনও আরও উল্লেখ করেন, ১৪৪ ধারা চলাকালীন সময়ে লামকাইন ঈদগাহ মাঠের আশেপাশে পাঁচজনের একত্রে চলাফেরা, সভা সমাবেশ ও মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ থাকবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ ঈদগ হ ম ঠ ১৪৪ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।