হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে গান যোগের নতুন সুবিধা
Published: 30th, March 2025 GMT
হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাসে গান যোগ করার নতুন সুবিধা চালু করেছে মেটা। এর ফলে ব্যবহারকারীরা স্ট্যাটাসে ছবি বা ভিডিওর সঙ্গে সরাসরি গান যুক্ত করতে পারবেন। সুবিধাটি এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বব্যাপী আরও বিস্তৃত হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্ট্যাটাসে যোগ করা কনটেন্টের মতোই গান সংযুক্ত করার এই সুবিধাও এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড থাকবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা কোন গান যুক্ত করছেন বা কী শেয়ার করছেন, তা হোয়াটসঅ্যাপ দেখতে পারবে না। হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস দেওয়ার সময় পর্দার ওপরে মিউজিক নোট আইকন দেখা যাবে। সেখানে ট্যাপ করলেই হোয়াটসঅ্যাপের মিউজিক লাইব্রেরি উন্মুক্ত হবে। ব্যবহারকারীরা এখান থেকে পছন্দের গান বেছে নিতে পারবেন। স্ট্যাটাসের ধরন অনুযায়ী গান সংযুক্ত করার সময়সীমা নির্ধারিত থাকবে। ছবির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ সেকেন্ড এবং ভিডিওর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত গান যোগ করা যাবে। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, মিউজিক লাইব্রেরিতে লক্ষাধিক গান রয়েছে, যেখান থেকে ব্যবহারকারীরা তাঁদের মনের মতো গান খুঁজে নিতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপে গান যোগ করার এই নতুন সুবিধা মূলত ইনস্টাগ্রামের স্টোরি, রিলস ও প্রোফাইল মিউজিক সুবিধার মতোই। ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীরা আগে থেকেই স্টোরি ও রিলসে গান যুক্ত করতে পারতেন। এবার হোয়াটসঅ্যাপেও একই ধরনের সুবিধা চালু হওয়ায় দুটি প্ল্যাটফর্মের অভিজ্ঞতা আরও কাছাকাছি চলে এল। হোয়াটসঅ্যাপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, সুবিধাটি ধাপে ধাপে বিশ্বব্যাপী চালু করা হচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে এটি সব ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প য ক ত কর য গ কর
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন।
সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।